ফারদিন মোহাম্মদ, (যশোর প্রতিনিধি)
গত কিছুদিন ধরেই দেশের বাজারে সোনা রৌপ্যর মতো বাড়তে শুরু করেছে পেয়াজের দাম। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন এ দেশের সাধারণ মানুষ। কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় একদিকে যেমন দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে অন্যদিকে ভারতের সীমান্তে আটকা পড়েছে ব্যবসায়ীদের আমদানি করা শত শত ট্রাকভর্তি পেঁয়াজ। এসব পেঁয়াজ অতি দ্রুত খালাস করতে না পারলে তা পচে নষ্ট হয়ে যাবে।এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে পেয়াজ ব্যবসায়ীরা।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত পেয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার পর গত সোমবার থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর, দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ও দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর দিয়ে কোনো পেঁয়াজ দেশে ঢোকেনি। অথচ এসব সীমান্তের ভারতের অংশে আটকে আছে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমদানি করা পেঁয়াজ। ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আমদানি করা এসব পেঁয়াজ ভারত রপ্তানি বন্ধের আগেই কেনা হয়েছে। কিন্তু এখন রপ্তানি বন্ধের অজুহাতে এসব পেঁয়াজ ভারত বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে না। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের পেঁয়াজের বাজারে যে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে তা এখনো কমেনি। অধিকাংশ ক্রেতাই দাম আরো বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ কিনছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন , এক থেকে দুই দিনের মধ্যে বর্ডারে যেগুলো ট্রাক আটকা আছে সে বিষয়ে সমস্যার সমাধান হবে। প্রয়োজনের বেশি পেঁয়াজ না কেনার পরামর্শ দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরো বলেন, মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। এজন্য সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান তিনি।