সোমবার, ১২ জুলাই ২০২১
কুলাউড়া প্রতিনিধি:: গত ৭ জুলাই বুধবার ‘কুলাউড়ার ভাটেরায় আইন অমান্য করে কাটা হচ্ছে টিলা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের সাথে আমি ভিন্নমত পোষণ করে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে, আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে অভিযোগকারি ভাটেরার হোসেনপুর গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আবুল কালাম তছন আমারই আপন চাচাতো ভাই।
কুলাউড়ার ভাটেরা-ফেঞ্চুগঞ্জ প্রধান সড়কের জামতলা খেলার মাঠ সংলগ্ন প্রায় ২৫ ফুট পশ্চিমে হোসেনপুর গ্রামে আমাদের বাড়ি। আমার আধাপাকা একটি ঘর টিলার উপরে থাকায় অতিবৃষ্টির কারণে ঘরের লিন্টার ও পিলারের গোঁড়ার মাটি ধ্বসে পাকা দেওয়াল ভেঙ্গে যায়। একপর্যায়ে নতুন ঘর নির্মাণ করার প্রয়োজন হয়। টিলা জায়গা অতিরিক্ত ঢালু হওয়ায় ঘর নির্মাণের সুবিধার্তে টিলায় উত্তর ও দক্ষিণে পুরাতন ঘরের ভিটার নিচের কিছু মাটি কাটা হয় এবং কাটা মাটি পূর্ব ও পশ্চিম দিকের ঢালু অংশে ছাড়া হয়। এই কাজের পরিকল্পনাকারি ও মূল উদ্যোক্তাও ছিলেন আবুল কালাম তছন। মাটি কাটার প্রায় ৪ বছর আগে আবুল কালামের পরামর্শ ছিল, বাড়িতে তার অংশের সীমানা ঘেঁষে ৬০ ফুট প্রশস্থের একটি গার্ডওয়াল আমরা তৈরি করে দিতে। তা না হলে তার অংশের জায়গার মাটি ধ্বসে পড়বে। আমরা গার্ডওয়াল দিতে একমত হই। হঠাৎ তিনি মাটি কাটার কাজে আপত্তি জানিয়ে আমার বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন। টিলায় আমার দুই ভাইয়ের অংশ থাকার পর প্রায় ৫০ ফুট দূরে আবুল কালাম তছনের বাড়ি। এর ভেতর থেকে কোন মাটি কাটা হয়নি। এখানে তার বসত-ঘর ধ্বসে পড়ার প্রশ্নই উঠে না। তার সীমানা ঘেঁষে মাটি কাটাতো দূরের কথা বরং তৎকালীন সময় তার পরামর্শে মাটি কাটার সিদ্ধান্ত এখন আমার উপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। বর্তমানে আমার জায়গায় কোন কাজ করতে দিচ্ছেন-না তিনি। আমাকে অযথা হয়রানি ও সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করতে গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করছেন। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মো. আব্দুল খালিক হোসেনপুর,
ভাটেরা, কুলাউড়া।