মোঃ ফেরদৌস মোল্লাহ্
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মোবাইল বন্দক রাখাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চার জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে উপজেলার নদমূলা শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ৪নং নদমূলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন একই গ্রামের পলাশ ফরাজির ছেলে শাকিল ফরাজি, মনির হোসেন এর ছেলে সবুজ হোসেন, মৃত ফজলু হাওলাদার এর ছেলে কুদ্দুস হাওলাদার, কুদ্দুস হাওলাদার এর মেয়ে খুশি আক্তার।
স্থানীয় সুত্র জানায়, শাকিল ও কুদ্দুসের ছেলে রাকিবের মধ্যে বন্দক রাখা একটি মোবাইল ফেরৎ চাওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকালে কলোনি বাজার এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় কুদ্দুস ও তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েরা সবুজ ও শাকিলকে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পৌঁছে দেয়। ওই সময় স্থানীয়দের দেয়া পরামর্শ মতে বুধবার বিকালে কুদ্দুসের বাড়িতে ওই মোবাইলটি ফেরৎ আনতে যাওয়ায় আবারো তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তখন কুদ্দুস ও তার মেয়ে খুশি আহত অবস্থায় ভান্ডারিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়।
আহত শাকিল মুঠোফোনে জানান, কিছুদিন আগে রাকিবের কাছে একটি মোবাইল বন্দক রেখে পাঁচ হাজার টাকা নেই। মঙ্গলবার ওই টাকা পরিশোধ করে মোবাইল ফেরৎ চাওয়ায় রাকিব আমাদের মারধর শুরু করে। ওই সময় স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বুধবার বিকালে আমরা আবারো রাকিবের বাড়িতে যাই এবং ছয় হাজার পাঁচশত টাকা দিয়ে মোবাইলটি ফেরৎ চাই। তখন তারা আশেপাশে থাকা ধারালো ও ভোতা অস্ত্র নিয়ে আমাদের প্রতি হামলা চালায়। সেই সময় তাদের ব্যবহৃত লাঠির আঘাতেই কুদ্দুস ও খুশি আহত হয়।
এদিকে শাকিলের চাচা রিয়াজ ফরাজি জানান, রাকিব দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাড়ির সামনে মাদক ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে। এ বিষয় রাকিবকে একাধিকবার সতর্ক করে শাকিলের সাথে ঘোরাফেরা করতে নিষেধ করি। গত মঙ্গলবার ও বুধবারের সংঘর্ষে আহত সকলকে চিকিৎসা শেষে স্থানীয় সালিশ-মীমাংসার প্রস্তাব জানাই। কিন্তু রাকিব’রা সালিশ-মীমাংসায় আসবেনা জানিয়ে আবারো দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এ বিষয় কথা বলতে চাইলে রাকিবদের বাড়িতে পাওয়া যায় নাই।