রাবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশী কিশোরী হত্যা ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ সমাবেশ করেন তারা।
এসময় তারা, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘ভারতীয় পণ্য, বয়কট বয়কট’, ‘শিশুদের হত্যা হলে, সেভেন সিস্টার্স থাকবে নারে’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দিব না’, ‘দিয়েছিতো রক্ত, আরও দিব রক্ত’ ও ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’ সহ নানা স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, আমরা জানি যে গতকালকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া এক ছাত্রীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাতে চাই, ভারতের যারা প্রতিনিধি আমাদের দেশে আছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে ডেকে এর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরবি বিভাগের অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, পৃথিবীতে অনেক দেশের সিমান্ত আছে, কিন্তু ভারতের মতো এতো বরবর ও অসভ্য আগে কখনো কোথাও দেখিনি। একটা সময় ছিল যখন ভারতীয়রা সিমান্তে হামলার কথা কখনো সাহস পেত না। কিন্তু আমাদের ফ্যাসিস্টদের সাথে মিলেই তারা এ সাহস পেয়েছে এবং গুলি করে হত্যা করেছে। এমনকি আমাদের নিকৃষ্ট ফ্যাসিস্ট ও বিতাড়িত শয়তানকে তারাই আশ্রয় দিয়েছে। গত ২-৩ মাস যাবৎ তারা যখন কোনো ভাবেই কিছু করতে পারছিলো না তখন তারা সিমান্তে হামলা চালিয়েছে।
এরআগে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে স্বর্ণা দাস নামের এক কিশোরী মারা গেছে। গতকাল রোববার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তার লাশ বিএসএফ নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।