জাহিদুল ইসলাম জাহিদ কলাপাড়া-কুয়াকাটা প্রতিনিধি:-
দুস্থ অসহায় ও মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তিদের মুখে এক বেলা খাবার তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে আজকে সাফল্যের কাঁথারে নাম লিখিয়েছে জন্মভূমি কুয়াকাটা নামে একটি অনলাইন গ্রুপ।
২০১৯ সালে জুলাই মাসে ১৯ তারিখ কিছু সংখ্যক স্টুডেন্ট নিয়ে ,এবং ট্যুরিজম ব্যবসায়ের সাথে যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্য থেকে কিছুসংখ্যক ট্যুরিজম ব্যবসায়ী এগিয়ে এসে এই সংগঠনটি তৈরী করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
এই সংগঠনের সদস্যদের নিজেদের অর্থায়নে অসহায় ও ভারসাম্যহীন ব্যাক্তিদের প্রতি শুক্রবারে একবেলা একমুঠো ভালো খাবার ভারসাম্যহীন ব্যাক্তিদের মুখে তুলে দেওয়া চেষ্টা করেন জন্মভূমি কুয়াকাটা সংগঠন।
চলমান অবস্থায় হঠাৎ সারাদেশে করোনাভাইরাস নামে একটি অভিশাপ পৃথিবীতে নেমে আসে, এই অভিশপ্ত সময় দুঃখ নেমে আসে পর্যটন এলাকা কুয়াকাটায়।
কারণ এই ভারসাম্যহীন ব্যক্তিরা প্রতিদিন খাদ্য সংগ্রহ করত কুয়াকাটার খাবার হোটেল গুলো থেকে, কিন্তু মহামারীতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার সাথে সারাদেশের যোগাযোগ, পর্যটক না আসায় মানুষের আনাগোনা না থাকায় নিস্তব্ধ ভাবে বন্ধ হয় খাবার হোটেল দোকানপাট সহ অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্য এর কারণেই ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটতে শুরু করে ভারসাম্যহীন পাগলদের সমাহার।
এই অভিশপ্ত সময় ভারসাম্যহীন পাগলদের পাশে নতুন এক উদ্যোগ নিয়ে দাঁড়িয়েছে কুয়াকাটার প্রিয় সংগঠন, জন্মভূমি কুয়াকাটা।
করোনাভাইরাসের কারণে কুয়াকাটা লকডাউন থাকায় প্রতি সপ্তাহে বাদ দিয়ে এখন প্রতিদিন দুইবেলা করে ভারসাম্যহীন ব্যাক্তিদের খাবার দেওয়া শুরু করেন জন্মভূমি কুয়াকাটা নামে সংগঠন
করোনা ভাইরাস থেকে প্রায় আড়াই মাস যাবত প্রতিদিন দুইবেলা করে খাবার দিয়ে চলছে এই সংগঠন ।
এমন মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখে একটি কথা মনে পড়ে যায় যে মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এমন মহৎ উদ্যোগ দেখে স্থানীয় জনগণ সহ প্রশাসন তাদেরকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছে সাথে সাথে আজকে বিশেষ দিনে জন্মভূমি কুয়াকাটাকে শুভ জন্মদিন জানান।
এদিকে জন্মভূমি কুয়াকাটা সংগঠনের অন্যতম সদস্য কে এম বাচ্চু খলিফা সাংবাদিকদের জানান যে আজ আমাদের জন্মভূমি কুয়াকাটার এক বছর প্রতি পূর্ণ হয়েছে, আমাদের জন্মভূমি কুয়াকাটা সংগঠনের যারা জড়িত তারা অধিকাংশই স্টুডেন্ট, এবং এই সংগঠনের অর্থ আয় ট্যুরিজম ভিত্তিক ,এই লকডাউনের কারণে একদিকে ট্যুরিজম এর সকল ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ,তাই সব মিলিয়ে প্রতিদিন দুই বেলা খাবার দেওয়াটা অনেকটা কষ্ট দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তারপরও চালিয়ে যাব জন্মভূমি কুয়াকাটা এ কার্যক্রম এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি আরো বলেন বিত্তবানদের সহযোগিতা যদি জন্মভূমি কুয়াকাটা পায় তাহলে আর একটু ভালো ভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি,
তার কথার সাথে তাল মিলিয়ে মোঃ রাসেল শেখ সর্বশেষে এই বিশেষ দিনে জন্মভূমি কুয়াকাটার প্রতিটি মহান মানুষকে যার অক্লান্ত পরিশ্রম করে জন্মভূমি কুয়াকাটা সংগঠনের সাথে নিঃস্বার্থ কাজ করে যাচ্ছে তাদেরকে জানাই জন্মভূমি কুয়াকাটার পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।