নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাগরকন্যা কুয়াকাটায় রমজানে শেষ সময়ে ইফতারকে কেন্দ্র করে সৈকতে পশ্চিম দিগন্তের ব্লক পয়েন্ট জুড়ে চলছে উৎসবের আমেজ। বিকেল হতেই জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম দিকে দেখা যায় দলে দলে ইফতারের প্রস্তুতির দৃশ্য।
পড়ন্ত বিকেলে সূর্য যখন পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে, ঠিক এমন গোধূলি বেলায় দেখা যায় রোজাদাররা ইফতার সামগ্রী নিয়ে রং তুলিতে সাজানো বেøাকের উপরে বসে ইফতার সামগ্রী তৈরিতে কেউ কেউ ব্যস্ত, কেউ ব্যস্ত প্রার্থনায়, কেউ কেউ মনের সুখে গুনগুনিয়ে হামদ-গজল গাইছে, কারও হাতে ছোলা, মুড়ি, চপ মাখানোর ব্যস্ততা, কেউ বানায় শরবত, কেউ কেউ ফল বা তরমুজ কাটে, কেউ আবার খাবার পানি সহ সাজাচ্ছে প্লেট-গ্লাস। সৈকতের তীরে মুক্ত বাসাতে এ যেন এক অন্য রকম প্রশান্তি। সেখানেই সবার অপেক্ষা মাগরিবের আজানের।
মোঃ মারুফ হোসেন বলেন, সবদিনই তো পরিবারের সঙ্গে ইফতার করি। আজকে সবাই মিলে কুয়াকাটা সৈকতে ইফতার করতে এসেছি। মুক্ত বাতাস অনেক ভালো লাগতেছে। মনটা ভরে গেছে এই পরিবেশে এসে।
হোটেল মিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল এর জিএম ইব্রাহীম ওয়াহিদ বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশে বিশাল সমুদ্রের বুকে মুক্ত বাতাসে ইফতার করার অন্য রকম এক অনুভূতি। ইফতারের আগের সময়টুকু সবচেয়ে ভালো লাগার। সারাদিন রোজা রেখে আল্লাহর এই বিশাল সৃষ্টির বুকে ইফতার আসলেই অন্তরকে তৃপ্তি দেয়, আলহামদুলিল্লাহ।
কুয়াকাটা বাইতুল আরজ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান বলেন, আল্লাহর রাসূল বলছেন রমজানের শেষ দিকে সাওয়াল মাসের চাঁদ খুছতে। তাই ২৯ রমজান একত্রে সৈকতের পাসে ইফতার করতে এসেছি। বিশাল সাগরের গর্জন, মুক্ত বাতাস মনোরম পরিবেশ, আল্লাহর মহান এক হুকুম রোজা রেখে ইফতারের অপেক্ষায় আছি। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে কবুল করুক, আগামী রমজান পর্যন্ত সবাইকে সুস্থ, সুন্দার রাখুক সেই প্রত্যাশা করছি।