মোঃ ফেরদৌস মোল্লা, পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পাষন্ড স্বামীর যৌতুকের রোষানলে ও নির্যাতনে শিকার হয়ে শিশু সন্তান নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে সালমা আক্তার লিমা নামের এক গৃহবধূ। লিমা উপজেলার বেতমোর ইউনিয়নের জরিপের চার গ্রামের মৃত্যু নয়া মিয়ার মেয়ে।
ভুক্তভোগী লিমা আকতার জানায়, স্থানীয় মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেনীতে লেখাপড়া করা অবস্থায় তার এক নিকট আত্মীয় (তাওই) পশুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা কথিত ঘটক আমির হাওলাদার জোর করে উপজেলার মানিকখালী গ্রামের আব্দুল খালেক হাওলাদারের ছেলে হেলাল হাওলাদারের সাথে বিয়ে দেয়। হেলাল ট্রাক চালক হওয়ায় তার বাবার বাড়িতে রেখে ট্রাক চালতে যায়। বিয়ের শুরু থেকেই যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে স্বামী হেলাল। একাধিক সালিশ বৈঠক হলে হেলাল নিজ বাড়িতে তাকে নিয়ে যায়। যৌতুকলোভী স্বামী হেলাল দুই লাখ টাকা যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। সে যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় স্বামী হেলাল তাকে বাড়িতে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। পরে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি স্বামী হেলালসহ তিন জনের বিরুদ্ধে পিরোজপুর বিজ্ঞ জজ আদালতে তিনি মামলা করে।
লিমা ক্রন্দন স্বরে আরও জানান, তার তাওই তার নাম পরিবর্তন করে সালমা বেগম ও ঠিকানা পশ্চিম মিঠাখালি করে জোর করে গত ৪ বছর আগে বিয়ে দিয়ে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। মামলায় ও কোন সুরহা আসছেনা। স্বামীর অধিকার বাস্তবায়নের জন্য তিনি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।