আবুল হোসেন রাজু:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় মাদক ব্যবসার লেনদেনকে কেন্দ্র করে রায়হান (২৫) অপহরণ ও নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়িত
থাকার অভিযোগে ইউসুফ বেপারী (২২) ও ইলিয়াছ হোসেন (২৩) নামের দুই
যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ইউসুফ বেপারী লতাচাপলী
ইউনিয়নের ফাঁসিপাড়া বেল্লাল বেপারীর ছেলে এবং ইলিয়াছ হোসেন পশ্চিম
কুয়াকাটা গ্রামের আউয়ুব আলী খানের ছেলে। অপহ্নত রায়হানের খোঁজ পেয়েছে তার পরিবারের লোকজন। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে
ইউসুফ বেপারীকে এবং সোমবার দুপুরে ইউলিয়াছ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে
মহিপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ইলিয়াস এর তথ্যমতে কুয়াকাটা পৌর এলাকার ১নং ওয়র্ডের মোথাউ পাড়া থেকে মাটি খুড়ে ১৫ কন্টেইনার ও ৫ ড্রাম মদ তৈরীর লিকুইড পদার্থ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মিজানুর রহমান বলেন,গ্রেফতারকৃত ইলিয়াস এর তথ্যমতে মাদকের লেনদেনের জের ধরে রায়হানকে মারধর করেছে তারা। পাওনা টাকা দেবার শর্তে রায়হানকে তারা ছেড়ে দিয়েছে। মোথাউ পাড়ায় মদের আড্ডায় এসব করেছে। রায়হানকে অপহরণ করেনি বলে পুলিশকে জানিয়েছে ইলিয়াস। এ ঘটনার ৫দিন পর অপহৃত রায়হানের খোঁজ পেয়েছে তার পরিবার। রায়হানের বাবা আবুল কাসেম জানান,নির্যাতন ও মারধরের পর রায়হানকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরণকারীরা। রায়হান পালিয়ে গিয়ে পটুয়াখালীর হুমকিতে তার এক আত্মীয়র বাসায় আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
এ ঘটনায় রায়হানের বাবা আবুল কাশেম রোববার মহিপুর থানায় ৯ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
মহিপুর থানা ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানিয়েছে, রায়হানকে
নির্যাতনের ঘটনার সাথে জড়ির থাকায় ইউসুফ বেপারী ও ইলিয়াছ হোসেনকে
গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জানাগেছে, মহিপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে রায়হান (২২)
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে তার শ্বশুর বাড়ি তালতলির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রায়হানকে মারধর ও নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রায়হানের বাবা ইমাম হোসেনকে প্রধান আসামী করে মহিপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা করে।
###