আবুল হোসেন রাজু,
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।
সংগ্রাম কর্তৃক আয়োজিত সাসটেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট এর শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের উপ-প্রকল্প এর আওতায় এবং পিকেএসএফ’র সহযোগিতায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) মহিপুর বন্দর মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির মিলনায়ন কেন্দ্রে সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলারের জেলেদের মাঝে ৬ টি ফিশ ফাইন্ডার ও সাউন্ড নেভিগেশন টেকনোলজি (স্যোনার প্রযুক্তি) সামগ্রী এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ করা হয়।
সংগ্রামের এসইপি প্রজেক্টের প্রোজেক্ট ম্যানেজার মোঃ ইউসুফ সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহিপুর মৎস্য আড়ত মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি হাজী মোঃ ফজলু গাজী, বিশেষ অতিথি সেলেশটিয়াল টেক লিমিটেড’র প্রকল্প পরিচালক খন্দকার ইলিয়াস কাঞ্চন,অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সংগ্রামের সহকারী পরিচালক (প্রোগ্রাম) মোঃ আশরাফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এসইপি প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান ও রিপোর্টিং এন্ড ডকুমেন্টেশন অফিসার সজল মিত্র প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, সমুদ্রগামী ফিশিং ট্রলারের সাধারণত গভীর সমুদ্রে ৮-১০ দিনের জন্য মাছ ধরতে যায়। এসময় সমুদ্রের সঠিক স্থান থেকে মাছ ধরা, জাহাজ ছেড়ে আসার স্থান থেকে গভীর সমুদ্র পর্যন্ত সঠিক দূরত্ব কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পাশাপাশি থাকা অন্যান্য জাহাজ অথবা কোস্ট গার্ডের সাথে সঠিক সময়ে যোগাযোগ স্থাপন করা জেলেদের জন্য কষ্টসাধ্য ছিল। সেই সমস্যা মোকাবেলায় সংগ্রাম কুয়াকাটার মহীপুরে ৬ সেট মাছ ধরার সমুদ্রগামী জাহাজে এই ফিশ ফাইন্ডার ও সাউন্ড নেভিগেশন টেকনোলজি (স্যোনার প্রযুক্তি) স্থাপন করা করেছে।
এই সেটটির ভিএইচএফ এন্টেনার মাধ্যমে ২৫-৫০ কিঃমিঃ এলাকার মধ্যে নৌবাহিনীর জাহাজ, কোস্ট গার্ডের জাহাজ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এছাড়া মাল্টি ফাংশান ফিশ ফাইন্ডারের মাধ্যমে পানির গভীরে মাছের উপস্থিতি শনাক্ত, পানির গভীরতা নির্ণয়, এবং সুষ্ঠ নেভিগেশনের জন্য সী-ম্যাপের অপশন রয়েছে।
সংগ্রাম বিশ্বাস করে যে, এই ফিশ ফাইন্ডার ও সাউন্ড নেভিগেশন টেকনোলজি (স্যোনার প্রযুক্তি) এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সমুদ্রগামী ফিশিং জাহাজের ট্রলারের জেলেরা ভবিষ্যতে নিরাপদে ব্যবসা সম্পাদন করতে পারবে।