আবুল হোসেন রাজু: পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা কলেজের আলোচিত সেই অধ্যক্ষ কালিম মোহাম্মদ’র নামে এবার সমন জারি করেছেন আদালত। রবিবার (২৩ আগষ্ট) বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শোভন শাহরিয়ার’র আদালত আসামী
কালিম মোহাম্মদ ও তাঁর সহযোগী জসিম মৃধার বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন গৃহীত করে এ আদেশ জারী করেন।
এর আগে ২৭ আগষ্ট ২০১৯ উপজেলার মহিপুর সদর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের হাজী
আবদুস সালাম উদ্দীন মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও অফিস
সহকারী মো: জসিম মৃধার নামে চাঁদা দাবী ও খুন জখমের হুমকীর অভিযোগে বিজ্ঞ
আদালতে একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন। এরপর বিজ্ঞ আদালত অভিযোগের বিষয়ে
মহিপুর থানার ওসিকে তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মহিপুর
থানার এসআই তারেক মাহমুদ তদন্ত শেষে সম্প্রতি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল
করেন। রবিবার মামলাটি কার্য তালিকায় এলে বিজ্ঞ আদালত তদন্ত প্রতিবেদন
গ্রহীত করে মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ও অফিস সহকারী মো:
জসিম মৃধার নামে সমন জারী করেন।
কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফেরদৌস
মিয়া এ আদেশের সত্যতা স্বীকার করেন।
এদিকে আলোচিত অধ্যক্ষ কালিম মোহাম্মদ তার প্রতিষ্ঠানে এমএলএসএস পদে
নিয়োগের জন্য মোয়াজ্জেমপুর গ্রামের জনৈক মো: ইউসুফ’র নিকট থেকে আশি হাজার
টাকা গ্রহন করে চাকুরী না দিয়ে আত্মসাত করেন। ভুক্তভোগী ইউসুফ গত ২৯
ডিসেম্বর ২০১৩ কলাপাড়া ইউএনও’র কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।
এমনকি নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নিকট থেকে দাবীকৃত সুবিধা না পেয়ে
জ্যেষ্ঠতা লংঘন করে পদোন্নতির সুপারিশ করায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে লিখিত ব্যাখ্যা দেয়ার নির্দেশ দেন। এছাড়া সহকর্মীকে
সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক গালমন্দ করে ভীতি প্রদর্শন করায় গত ১৭ জুলাই ২০১৯ কলাপাড়া থানায় তাঁর বিরুদ্ধে ৭১৪ নম্বর জিডি দায়ের করা হয়।