29.6 C
Bangladesh
Friday, November 15, 2024
spot_imgspot_img
Homeমাগুরামাগুরায় এক গরীব অসহায় লোক চাঁদা না দিতে পাড়ায়, হয়ে গেলেন মাদক...

মাগুরায় এক গরীব অসহায় লোক চাঁদা না দিতে পাড়ায়, হয়ে গেলেন মাদক ব্যবসায়ী!

প্রগতি ডেস্কঃ-

তার ইচ্ছা পূরন না হলেই যে কেউ হয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ী অথবা সন্ত্রাসী।
দুবেলা দুমুঠো ভাতের আশায় গ্রাম থেকে শহরে এসে সবটুকু পুজি বিনিয়োগ করে একটি টং দোকান বানিয়ে কাপ-কেটলী কিনে চা বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করবে,এ আাশায় মাগুরা কলেজ রোডে কোভিড-১৯ মনিটরিং সেন্টারে হটলাইন কার্যালায়ের পাশে পরিত্যাক্ত স্থানে ভাসমান দোকান বসাতেই এক ভদ্রলোক (সাংবাদিক আবু বাসার আখন্দ) এসে বলেন এই দেখছিস না, “এ জাইগা আমার, আমি বাশ পুতে রেখেছি”। আমার এখানে বসতে হলে ১০ হাজর টাকা এ্যাডভান্স লাগবে।
যুবকটি অনেক অনুনয় বিনয় করে বলে, “আমার যা কিছু ছিল তা এর ভিতর, আমার কাছে কিছুই নাই”, কে শোনে গরীবের আকুতি, সঙ্গে সঙ্গে লাথি মেরে ড্রেনে ফেলে দেন ঐ যুবকের শেষ সম্ভল।

তিনি এতটায় ক্ষমতাশালী সাংবাদিক যে ভয়ে তার সাথে কেউ কথায় বলতে চান না কারন তার ইচ্ছের বিরুদ্ধে গেলেই লাগিয়ে দেন মাদক ব্যবসায়ি বা সন্ত্রাসী তকমা।

তারপরেও তার এই অমানবিক কাজ সহ্য করতে না পেরে দোকানটি না ফেলতে অনুরোধ করতে এগিয়ে আসেন করোনাকালীন সময়ে জীবন বাজী রেখে কাজ করা মানবিক হটলাইন টিমের সবথেকে পরিশ্রমি সদস্য ফরিদ শেখ যিনি একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান ও কাশেম সরদার যিনি একজন দর্জি যারা দু’জনই খেটে খাওয়া মানুষ এবং দলের দুঃসময়ের নিবেদিত কর্মী।

ক্ষমতাধর সাংবাদিক সাহেব (আবু বাসার আকন্দ) কোন কিছুতেই কর্নপাত না করে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে দোকানটি ড্রেনে ফেলেদিয়ে সামনেই তার অফিসে গিয়েই অনলাইন পত্রিকা “মাগুরা প্রতিদিন” -এ শিরোনাম করেন তার কাজে বাধা দেওয়া ফরিদ মাদক ব্যবসায়ি এবং কর্মহীন ঐ যুবক মাদকের দোকানদার।

শুধু এখানেই শেষ নয়, এবিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলে ঐ হলুদ সাংবাদিক ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দিয়ে বলেন আজ নিউজ হয়েছে মাগুরা প্রতিদিনে, কাল ছাপা হবে যুগান্তরে, এরপর ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে, তারপর ক্রসফায়ারের দিন গুনতে থাকবি।

এখন সাংবাদিক পরিচয়ের এই ক্ষমতাধর ব্যাক্তির হাত থেকে বাঁচতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ঐ সাধারন মানুষগুলি, নিজেদের স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দিতে দেশবাশীর কাছে আবেদন করছেন। স্থানীয় লোকজন আওয়াজ তুলেছে এই হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে যাদের কারনে কলংকিত হচ্ছে জাতীর দর্পন সাংবাদিক সমাজ, যার জন্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে হাজারো নিরীহ জীবন।

ফরিদ এবং এই নিরীহ দোকানদারের নিয়ে প্রশাসন এবং স্হানীয় লোকজন অনেক খোঁজ খবর নিয়েও, ইতিপূর্বে এদের কারো নামে মাদক সেবন বা বিক্রির কোনো অভিযোগ পায়নি।

Most Popular

Recent Comments