করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ। শুরু থেকেই এই ভাইরাসকে গুরুত্ব না দেয়া দেশটির প্রেসিডেন্টের সমালোচনা হচ্ছে বিস্তর।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্পের সমালোচনা আরও জোরদার হচ্ছে। সেটি আচ করতে পেরে নিজেকে বদলানোর চেষ্টায় আছেন ট্রাম্প। তারই প্রমাণ পাওয়া গেল তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে।
ট্রাম্প মাস্ক পরার ঘোর বিরোধী ছিলেন। নিজে মাস্ক পরতেন না। এখন পরছেন। সম্প্রতি বলেছেন, মাস্ক পরা দেশপ্রেম। মাস্ক পরে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে করোনাভাইরাসকে মোকাবেলা করারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সোমবার নিজের মাস্ক পরিহিত একটি ছবি টুইট করেছেন ট্রাম্প। সেখানে করোনাভাইরাসকে ‘অদৃশ্য চীনা ভাইরাস’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। মাস্ক পরার সাফাই গেয়ে ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন- ‘অদৃশ্য এই চীনা ভাইরাসকে হারাতে আমাদের প্রচেষ্টায় আমরা ঐক্যবদ্ধ। অনেকে মানুষ বলেন যে, যখন আপনি সামাজিক দূরত্ব মানতে পারেন না তখন মাস্ক পরাতেই স্বদেশপ্রেম। আমার চেয়ে দেশপ্রেমী কেউ নেই, আমি আপনাদের প্রিয় প্রেসিডেন্ট!’
এই পোস্টের সঙ্গে ট্রাম্প নিজের যে মাস্ক পরা ছবিটি দিয়েছেন, সেটি তোলা চলতি মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন ডিসির ওয়াল্টার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিকেল সেন্টারে। সেদিনই প্রথমবারের মতো মাস্ক পরে জনসম্মুখে এসেছিলেন তিনি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই এর বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা সবাইকে মাস্ক পরতে আহ্বান জানালেও তাতে পাত্তা দিচ্ছিলেন না ট্রাম্প। এই অবস্থার জন্য তাকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির টিকিটে ফের লড়বেন ট্রাম্প। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক পরা, চীন, উত্তর কোরিয়া, বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা বন্ধের সিদ্ধান্ত রোধসহ নানা ইস্যুতে শৈথিল্য দেখাচ্ছেন তিনি। ইরানের সঙ্গে বসার প্রস্তাব দিয়েছেন নিজেই।
১০ দিন আগে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসলেও সবাইকে এটা পরতে বলবেন না বলে ফক্স নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান ট্রাম্প। তার মতে, এতে মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতা খর্ব হতে পারে।
ইউএইস