পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধিঃ-
মোহাজের সম্পত্তি হস্তান্তর যোগ্য নয়, মোহাজেরদের পুর্ণবাসনে সরকার যখন মোহাজেরদের সম্পত্তি বন্দোবস্ত দিয়েছিল তখন সেখানে কিছু শর্ত দেয়া ছিল। সেই সব শর্তে মোহাজেররা বরাদ্দকৃত সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারবে না। কেউ বুঝে বা না বুঝে ওই সম্পত্তি যদি স্ট্যামমুলে বা অন্যপন্থায় নিয়ে থাকে তাহলে সে ওই সম্পত্তির মালিক হবে না। তার নামে রের্কড হওয়ার সুযোগ নেই। এখনও নিয়মিতভাবে ওই জমির খাজনা সরকার পরিশোধ করে আসছে। আজ ১৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে প্রত্যন্ত পল্লী চৈত্রকোল ইউনিয়নের অনন্তরামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ”পীরগঞ্জে মোহাজের পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ক্রয়কৃত/অধিগ্রহণকৃত সম্পত্তির হালনাগাদ তথ্য সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক গণশুনানী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হক এসব কথা বলেন।
এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায়ের সভাপতিত্বে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীম, চৈত্রকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান সবুজ বক্তৃতা করেন।
এ সময় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মাহবুবার রহমান, রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রায়হান কবির, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দীন ভূঞা জনী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন রাজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা শাহজাহান মন্ডল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশিয়ার রহমান মাস্টার, ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, টুকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মন্ডল, কাবিলপুর ইউনিয়নের চেযারম্যান রবিউল ইসলাম রবি, চতরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন উপস্থিত ছিলেন।
ডিজি বলেন, জনকল্যান মুলক প্রতিষ্ঠান যেগুলো মোহাজের সম্পত্তিতে রয়েছে সেগুলো থাকবে। কিন্তু অবৈধ ভাবে দখল করে মোহাজের সম্পত্তি ভোগদখল করা যাবে না।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশে ৪৬ হাজার একর মোহাজের সম্পত্তি রয়েছে, রংপুর ও দিনাজপুরে সর্বোচ্চ সংখ্যক জমি রয়েছে। সরকার জনগণের সরকার, শেখ হাসিনা সরকার জনগণের সরকার। মোহাজের সম্পত্তি সুষ্ঠুভাবে কল্যাণমুলক কাজে ব্যবহৃতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার।
প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৈত্রকোল, শাল্টি, ছিলিমপুর, অনন্তরামপুর, বাসুদেবপুর ও হরনাথপুরে মৌজায় ৫টি খতিয়ানে ৮৭৩.২৪ একর মোহাজের সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে ১২০০জন ভোগদখলকারী থাকলেও মুল এ্যালোটি রয়েছে ৩০০জন। বাকী ৯০০জন মুল এ্যালোটির নিকট থেকে হস্তান্তর করে অবৈধ ভোগদখলকারী।