রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
বৈষম্য হ্রাস করে দশম গ্রেড তথা দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদার এক দফা এক দাবিতে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে মানববন্ধন করেছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলা পরিষদ চত্ত¡রে এ কর্মসূচি করা হয়।
‘দশম গ্রেড আমাদের দাবি নয়, আমাদের অধিকার’ ¯েøাগানে এ আয়োজন করা হয়। ঘন্টাব্যাপী কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক সহকারী শিক্ষক অংশ নেন। যৌক্তিক কর্মসূচির সমর্থন জানিয়ে প্রধান শিক্ষকরাও কর্মসূচীতে যোগ দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে যোগ্যতার প্রয়োজন হয় স্নাতক কিংবা সমমান। অথচ বেতন গ্রেড ১৩তম। অন্যদিকে একই কারিকুলাম ও সমযোগ্যতায় পিটিআই সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অর্থাৎ পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পাচ্ছেন দশম গ্রেড। যা নিতান্তই বৈষম্য। এছাড়াও সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষক, পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টররা দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। এইচএসসি সমমান ও ডিপ্লোমা পাসে নিয়োগপ্রাপ্ত নার্সদের বেতন দশম গ্রেডে। এসএসসি সমমানে কৃষি ডিপ্লোমায় নিয়োগপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার বেতন পাচ্ছেন দশম গ্রেডে।
বক্তারা আরও বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ যোগ্যতা ¯œাতক পাসে বেতন পাচ্ছেন দশম ও নবম গ্রেডে। অথচ সমযোগ্যতা সত্তে¡ও আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। তাই বক্তারা বৈষম্য নিরসনে অবিলম্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যোগ্যতা ও ন্যায্যতার আলোকে দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি জানান।
এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলার মৌডুবি বাইলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাজী শফি উদ্দিন, কাছিয়াবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. ইসমাঈল হোসেন, রাঙ্গাবালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লাভলী ইয়াসমিন, নয়াভাংগুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. লিমন আনসারী ও বাদশা মিয়া প্রমুখ।
এরআগে ওইদিন একই দাবিতে অন্তর্বর্তীনকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষকরা।