রাবি প্রতিনিধি:
সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও টেকসই সাংবাদিকতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে(রাবি) ‘সাসটেইনেবল জার্নালিজম’ বিষয়ক শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার(১৫জানুয়ারি) ডয়েচে ভেলে একাডেমির সহযোগিতায় সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট(স্যাকমিড) এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করেন।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোমা দেবের সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্যাকমিডের উপ-পরিচালক সৈয়দ কামরুল হাসান শিক্ষার্থীদের দিকনির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘ধীরে ধীরে গণমাধ্যমের চাহিদা, পরিসর ও ব্যবহারকারী বাড়ছে। ফলে, দরকার হয়ে পড়েছে নতুন নতুন জ্ঞান, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা’। সরকারের একার পক্ষে সকলকে এই জ্ঞান, প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব না। এজন্য কিছু বেসরকারি সংগঠন সরকারের এই প্রচেষ্টাকে সাপোর্ট দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিক ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন করছি। এতে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সাংবাদিকগণ হয়ে উঠবেন আরও দক্ষ ও যোগ্য।
কর্মশালায় সভাপতিত্বের বক্তব্যে সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন বকুল (সাজ্জাদ বকুল) বলেন, ‘চলমান সময়ের জার্নালিজমের সংকটকে সংলাপের মাধ্যমে বের করে আনতে হবে। এরপর তা সমাধান করলেই জার্নালিজমে পরিবর্তন করা সম্ভব। আমার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা বলে, সাংবাদিকতার মূল পরিবর্তন ঘটেছে প্রযুক্তিগত ও মালিকানার। মালিকানার সংকটকে সাংবাদিকতার সংকটে পরিণত করেছে। একটি মিডিয়ার কোয়ালিটি মালিক না হলে কোয়ালিটি জার্নালিজম সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দেশের লিডিং গণমাধ্যমের মালিকানা নিয়ে ব্যাপক পড়াশোনা হওয়া উচিত। কারণ, মালিকপক্ষের সদিচ্ছা ছাড়া সংবাদকর্মীদের জন্য ওয়েজবোর্ড মেইনটেইন যেমন কঠিন, তেমনি গুণগত সাংবাদিকতা তো আরো কঠিন।
তিনি আরও বলেন, দেশের মিডিয়াগুলোর মালিকপক্ষের একটা অংশের কাজ হলো তাদের অবৈধ ব্যবসার সুবিধার জন্য গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা। আমাদের মিডিয়া হাউজগুলো একরকম পাকে পড়েছে। ফলে, শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জায়গায় কোয়ালিটিফুল করে তুললেও সাংবাদিকতায় আশানুরূপ সফলতা আসছে না। এ সংকট কাটিয়ে তুলতে মিডিয়ার একাডেমিক অঙ্গনের বুদ্ধিজীবী, মিডিয়াকর্মী, বর্তমান শিক্ষার্থী ও মালিকপক্ষসহ সকলকে কাজ করে যেতে হবে।’
তাছাড়াও বিভাগের অধ্যাপক মশিহুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক সাতিল সিরাজ বক্তব্য রাখেন। এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
হাফিজুর রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়