24 C
Bangladesh
Sunday, December 22, 2024
spot_imgspot_img
Homeজাতীয়রেড জোন এলাকাতেও কোরবানির পশুর হাট

রেড জোন এলাকাতেও কোরবানির পশুর হাট

ফাইল ছবি

রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু এই এলাকাতেই কোরবানির পশুর হাট বসানোর আয়োজন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘ মাঠের আশপাশের এলাকায় পশুর হাট বসানোর আহ্বান জানিয়ে ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করেছে ডিএসসিসি। হাটের ইজারা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮কোটি ৬৯ লাখ ৫৫৫ টাকা।

যে স্থানে করপোরেশন হাট বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, স্থানটিতে রেলওয়ে কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা বসবাস করেন। স্থানীয়দের কাছে এটি শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি হিসেবে পরিচিত। কলোনিতে বর্তমানে এক হাজার ৮৯২টি কোয়ার্টার রয়েছে।

এদিকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় পশুরহাটের বসানোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে তারা হাট না বসানোর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। আবাসিক এলাকার ভেতর যাতে হাট না বসানো হয়, এ জন্য তারা বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন।

কলোনির বাসিন্দারা বলছেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস বাংলাদেশ বিস্তার লাভ করছে। তা ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক শাহজাহানপুর এলাকাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এমন বাস্তবতায় গরুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক। গরুর হাটে জনসমাগম বৃদ্ধির কারণে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে, আবাসিক এলাকার ভেতর যাতে পশুর হাট না বসানো হয়, এ জন্য গত বছরও কলোনির বাসিন্দারা সোচ্চার ছিলেন। কিন্তু প্রভাবশালী একটি মহলের চাপে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন। ‌

মৈত্রী সংঘের মাঠটি ডিএসসিসির ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পড়েছে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মির্জা আসলাম আসিফ প্রথম আলোকে বলেন, ১৫ দিন আগের হিসেব মতে তার ওয়ার্ডে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৫ জন। যেহেতু এই এলাকাটি রেড জোনের মধ্যে পড়েছে এ জন্য এবার কলোনির বাসিন্দাদের উদ্বেগ অনেকটাই বেশি। তারা আবাসিক এলাকার ভেতর হাট বসানোর বিপক্ষে।

গোটা পৃথিবী করনা মহামারির কারণে একটা সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে আছে উল্লেখ করে এই জনপ্রতিনিধি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, এবার কলোনির ভেতরে পশুর হাট না বসালে ভালো হবে।

ডিএসসিসি এলাকায় পশুর হাটগুলো বসানোর বিষয়টির তদারকি করছে সংস্থাটির সম্পত্তি বিভাগ। জানতে চাইলে প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় যাতে পশুর হাট না বসে এই সংক্রান্ত একটা চিঠি তারা রেল মন্ত্রণালয় থেকে পেয়েছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবেন।

এই কর্মকর্তা মনে করেন যেহেতু হাতে অনেক সময় বাকি আছে এর মধ্যে এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

খবরঃপ্রথম আলো

Most Popular

Recent Comments