নিজস্ব প্রতিবেদক,প্রগতি২৪ঃ
দেশের যেসবক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এনজিও বা ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন সেসব প্রতিষ্ঠান আগামী জুন পর্যন্ত কোনো কিস্তি জোর করে আদায় করতে পারবে না। তবে কেউ সেচ্ছায় দিলে নিতে পারবেন উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিলো মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথোরিটি। জারি করা প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা তা দেখভালের জন্যে মনিটরিং সেলও গঠন করেছিলো অথরিটি। কিন্তু সম্প্রতি ব্রাক এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে গ্রামে গ্রামে মানুষকে হুমকি দিয়ে কিস্তি আদায় করা শুরু করেছেন বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের একজন ভদ্রমহিলা সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে, ব্রাক ব্যাংকের এক কর্মী তাদের হুমকি দিয়ে কিস্তি দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছেন। ওই মহিলার নাম মাহিনুর বেগম। তিনি ব্রাকের মেলাপাড়া শাখার ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতা। হুমকি ধামকি দেওয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের শাহ জালাল সেখানে উপস্থিত ছিলো। একপর্যায়ে শাহ জালালের সাথে ব্রাক কর্মীর সাথে এইসব বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। শাহ জালাল অভিযোগ করেন যে, ঐ ব্রাক কর্মী কিস্তি না দিলে মাহিনুর বেগমকে দোকান খুলতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। এছাড়া অকথ্য ভাষায় ওই মহিলাকে গালি দেওয়া শুরু করলে একপর্যায়ে শাহজালাল ব্রাক কর্মীর কাছে ব্যাপারটি জানতে চায়। ব্রাক কর্মী শাহজালালকে বলেন যে তাদের কিস্তি দিচ্ছে না তাই তিনি গালাগালি করেছেন। শাহজালাল ব্রাক কর্মীর ম্যানেজারের সাথে কথা বলতে চাইলে ব্রাক কর্মী বলেন যে, ম্যানেজার কথা বলবেন না। একপর্যায়ে শাহজালাল ইউএনও স্যারকে বিষয়টি অবহিত করবেন বলে জানালে ব্রাক কর্মী দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়। তবে চলে যাওয়ার সময় ইউএনও স্যারকে অবহিত করতে বলেন। তখন শাহজালাল ঐ ব্যক্তির একটি ছবি তুলতে চাইলে ব্রাক কর্মী ছবি তুলতে রাজি না হয়ে দ্রুত ঘটনাস্থান থেকে পলায়ন করেন।