‘অপু বিশ্বাস কি শাকিব খানের প্রেমে সত্যিই প্রতারিত হয়েছেন, নাকি অপু নিজেই ব্যাক করেছেন? কোনটা, অপু?’ টিভি উপস্থাপকের এমন প্রশ্নে হেসে ফেলেন ঢালিউড তারকা অপু বিশ্বাস। খানিকটা সময় নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমিই ব্যাক করেছি। কারণ, যাকে ভালোবাসা যায়, তাকে স্পেস দিতে হয়। তাকে বিরক্ত করতে হয় না।’ সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ফেসবুক লাইভে উপস্থাপকের প্রশ্নে শাকিবের সঙ্গে প্রেম ও প্রতারণার প্রসঙ্গ এলে এভাবেই উত্তর দেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।
এখন পর্যন্ত শাকিব খানের অভিনয়জীবনের সর্বাধিক ছবির নায়িকা অপু বিশ্বাস। এফ আই মানিক পরিচালিত ‘কোটি টাকার কাবিন’ দিয়ে যাত্রা শুরু করে এই জুটি। প্রথম সিনেমা ব্যবসাসফল হওয়ায় তাঁদের জুটিকে নিয়ে নির্মাতারা বানাতে শুরু করেন একের পর এক সিনেমা। এই জুটির চলচ্চিত্রের সংখ্যা ৭২। এসবের মধ্যে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের সংখ্যাও কম নয়।
শাকিবের সঙ্গে জুটি প্রসঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমার আর শাকিবের যে পরিমাণ সিনেমা, আমি মরে গিয়ে জন্ম নিলেও তা আবার করা সম্ভব হবে না। শাকিবের সঙ্গে যত নায়িকাই কাজ করুক না কেন, আমাদের জুটির জনপ্রিয়তা কিন্তু ভাঙতে পারেনি। আল্টিমেটলি শাকিব ও অপুর নামটিই আসে। কারণ, আমাদের সিনেমার সংখ্যা ৭২। হলিউড, বলিউড, টালিউড ও ঢালিউডে এ রকম আর সম্ভব হয়নি। আমি এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বলতে চাই, আমি ও শাকিব যেহেতু জুটি হয়ে এতগুলো ছবিতে অভিনয় করেছি, তাই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে অ্যাপ্লিকেশন করতে চাই। কারণ, এমনটা কোথাও হয়নি। সেই জায়গা থেকে এই জুটি আমি চাইলেও ভাঙতে পারব না, শাকিবও পারবে না। হয়তো কেউ ২৫-৩০টি সিনেমা করতে পারেন, বাট ৭২টি সিনেমা করা ইম্পসিবল।’ (অপু বিশ্বাসের বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে)
সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়েই শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের প্রেম। তারপর চুপি চুপি বিয়ে ও আট বছরের গোপন সংসার। শাকিবের সঙ্গে আরেক নায়িকার সম্পর্ককে কেন্দ্র করে সন্তানসহ অপু বিশ্বাস টেলিভিশন লাইভে আসেন। সন্তানসহ অপুর প্রকাশ্যে আসার কয়েক বছর আগে থেকেই কানাঘুষা চলছিল, শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস বিয়ে করেছেন। কিন্তু কোনো প্রমাণ মিলছিল না। পরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল টেলিভিশনে উপস্থিত হয়ে শাকিবের সঙ্গে নিজের গোপন বিয়ের ঘটনা ফাঁস করেন অপু নিজেই। এ কারণেই দুজনের সম্পর্কে শুরু হয় টানাপোড়েন। পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছায় যে একে অন্যের মুখ–দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ করে দেন তাঁরা। সেই টানাপোড়েনের চূড়ান্ত পরিণতিতে ওই বছরের ২২ নভেম্বর আইনজীবীর মাধ্যমে অপুকে তালাকের নোটিশ পাঠান শাকিব খান।
২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। বিয়ের ব্যাপারটি কঠোর গোপনীয়তার মধ্যে রেখে তাঁরা দুজন সমানতালে সিনেমার শুটিং অব্যাহত রাখেন। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের বাইরের একটি হাসপাতালে জন্ম হয় তাঁদের সন্তান আব্রাম খান জয়ের।
সূত্রঃপ্রথম আলো