এম এম শফিকুল ইসলাম(এমএ)
স্টাফ রিপোর্টারঃ-
ভূমি সংস্কার বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত জাতীয় শুদ্ধাচার
পুরস্কার ২০১৯-২০ পুরস্কার পেয়েছেন বরিশাল বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার (ডিএলআরসি) তরফদার মোঃ আক্তার জামীল। শুদ্ধাচার পুরস্কার
প্রদান নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের জন্য দেশের আট বিভাগের সব
ডিএলআরসিদের মধ্য হতে একজন ডিএলআরসিকে এবছর পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখ বুধবার ভূমি সংস্কার বোর্ড, মতিঝিল এর সম্মেলন কক্ষে বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সরকারের সচিব মোঃ ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী পুরস্কার হিসেবে তার হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন।এছাড়া তাকে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থও দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার
চর্চায় উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
‘শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭’ প্রণয়ন
করে। নীতিমালার ৪ ধারা অনুযায়ী ১১টি ক্ষেত্র ও ১৯টি
সূচক বিবেচনায় নিয়ে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেয়ার জন্য তিনজন কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন করা হয়। শুদ্ধাচার
পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলি
হচ্ছে- পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ এবং অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা।
শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ভূমি সংস্কার বোর্ড এর অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তা ছাড়াও ১ম-১০ম গ্রেড পর্যায়ে বোর্ডের সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ জাকীর হোসেন এবং ১১তম-২০তম গ্রেড পর্যায়ে বোর্ডের সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর মুনতাছির মামুনকে পুরস্কৃত করা হয়।
২২তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের উপ-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা তরফদার মো: আক্তার জামীল ২৯ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে বরিশাল বিভাগের উপ-ভূমি সংস্কার কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। ডিএলআরসি হিসেবে যোগদানের পর থেকেই তিনি সরকার ঘোষিত শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৪২টি উপজেলা ভূমি অফিস এবং ২৫৪ টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং তাদের কার্যক্রম নিয়মিত মনিটরিং করেন। এর ফলে গত অর্থ বছরে ই-নামজারি বাস্তবায়নে প্রত্যন্ত বিভাগ হওয়া সত্বেও বরিশাল বিভাগ ঈর্ষনীয় সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়। একই অর্থ বছরে প্রায় ৮ মাস তিনি খুলনা বিভাগের ১০ জেলার উপজেলা ভূমি অফিস এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কার্যক্রমও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে মনিটরিং করেন। প্রতিনিয়ত অফিসগুলো ভিজিট করে তিনি স্বচ্ছতা ও সততার সাথে ভূমি সেবা প্রদানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসাহ প্রদান করেন। এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনাসহ করোনাকালে বিভাগীয় পর্যায়ে ডিএলআরসিদের মধ্যে তাকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা ও বিস্তার রোধকল্পে গৃহীত কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং তদারকির দায়িত্ব প্রদান করা হলে তিনি নিবিড়ভাবে তদারকির কাজটি সম্পন্ন করেন। এছাড়া একজন বৃক্ষপ্রেমিক হিসেবে যখন যে অফিস তদারকিতে যান সেখানেই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করেন এবং সহকর্মীদের এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। উল্লেখ্য, তিনি নিজ মুন্সিয়ানায় অপরিচিত ডিএলআরসি পদটিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন।