বশির আহাম্মদ রুবেল
বিগত সপ্তাহে চট্টগ্রাম নগরীতে ৩০ বছরের রেকর্ড পরিমান ভারী বর্ষনের ফলে আকস্মিক বন্যা তলিয়ে যায় নিচু এলাকা। টানা পাঁচ দিনের জলাবদ্ধতায় ঘরবাড়ি কোমড় পরিমান পানিতে ডুবে চরম বেকায়দায় পড়ে নগরবাসী। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিন্মবিত্তের মানুষগুলো। পানিতে নষ্ট হয়ে পড়ে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ খাদ্যদ্রব্য। এদিকে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কর্মের খোজে আসা মানুষগুলো পরিচিত না হওয়ায় বঞ্চিত হয়েছে সরকারি বেসরকারি ত্রান ও সাহায্য থেকে। এদের কথা বিবেচনায় দক্ষিন এশিয়ার একমাত্র শ্রম কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শ্রম কল্যাণ সংস্থা (এল ডব্লিউ ও) অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে উপহার সামগ্রী (খাদ্য দ্রব্য) বিতরণ করেছে। সমাজসেবক মো: শাহজাহানের অর্থায়নে ও (এল ডব্লিউ ও)’র নেতৃবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৪ টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন আরাকান রোড সংলগ্ন সিএন্ডবি (বালুরটাল) এলাকার সংগঠনের অফিসের নিচে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের নিয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মো: শাহজাহান, মো: আবু সাঈদ, আশরাফ হোসেন রোকন, মো: টিপু, সৈয়দ আবদুল আজিম মুন্না, মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন, মো: শাহিন, মো: ফিরোজ, আমান উল্লাহ, মোঃ মহিউদ্দিন প্রমুখ। এসময় সামর্থ্যবান নাগরিকদের ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়ে মোঃ শাহজাহান বলেন, এই উপহার সামগ্রী (খাদ্য দ্রব্য) ভিক্ষা নয়, এটা সামর্থ্যবানদের পক্ষ থেকে আপনাদের প্রাপ্য। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তায় ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি আমাদের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য বিবেচনা করে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক ভাইদের নিয়ে যতটুকু সম্ভব তা নিয়ে মানুষদের পাশে দাড়াচ্ছি। সামর্থ্যবান নাগরিকদের প্রতি আহবান আপনারাও মানবসেবার এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেননা। কষ্টে থাকা মানুষদের খাবার ও অর্থসহায়তা দিন, আসুন সকলে মিলে গড়ে তুলি মানবিক পরিবেশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গেলে কাউকে পিছনে ফেলে রাখা যাবে না। পরস্পর সহযোগিতার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়াদের সাথে নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এদিকে গতকাল (শুক্রবার) কালুরঘাট ভারী শিল্প এলাকায় খালি জায়গায় বিভিন্ন ফলজ ও বনজ গাছের চারা ও বীজ রোপন করা হয়। সেখান থেকে চলতি বছরের মধ্যেই ৫০ হাজার বৃক্ষ রোপনের অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।