যে কোনো খেলার সেরা একাদশ বাছাই করা সহজ কাজ নয়। আবার সেই কাজটা যদি করতে হয়ে সতীর্থদের মধ্যে থেকে সেরা ১১ জনকে বেছে নেওয়ার, তবে তা হয়ে যায় আরও কঠিন। সেই কঠিন কাজটাই করতে হলো সাকিব আল হাসানকে। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে হার্শা ভোগলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইপিএলে যাদের সঙ্গে খেলেছেন তাঁদের মধ্য থেকে সেরা একাদশ নির্বাচন করেছেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।
সাকিব আইপিএলের লম্বা ক্যারিয়ারে খেলেছেন দুটি দলে। একটি কলকাতা নাইট রাইডার্স বা কেকেআর, অন্যটি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই দুই দলে যাদের সঙ্গে খেলেছেন তাঁদেরই শুধু একাদশে নিতে পেরেছেন সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ব্যাটিংক্রম অনুসারে সাকিব প্রথমে ওপেনার হিসেবে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও রবিন উথাপ্পাকে। তিনে রেখেছেন গৌতম গম্ভীরকে, দলের অধিনায়কও খেলা ছেড়ে রাজনীতিতে নামা এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান। চারে মনীশ পান্ডেকে রাখার পর ব্যাটিংক্রমের পাঁচে নিজেকে রেখেছেন সাকিব। পরের দুটো জায়গাও বরাদ্দ দুজন অলরাউন্ডারের জন্য। সাকিব একাদশ সাজাতে গিয়ে বললেন ইউসুফ পাঠান ও আন্দ্রে রাসেলকে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিংক্রম অদলবদল করাবেন তিন। আটে রেখেছেন আইপিএল ব্যাটিং ওপেন করা ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান সুনীল নারাইনকে। ৯–১০–১১ নম্বের তিন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, লক্ষ্মীপতি বালাজি ও উমেশ যাদব।
ওয়ার্নার ও ভুবনেশ্বর ছাড়া সবাই কেকেআরের কেন ভোগলের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে হলো সাকিবকে। উত্তর দিকে দেরি করেননি সাকিব, ‘কারণ, আমি ছয় বছর খেলেছি কেকেআরে, আর দু্ই বছর হায়দরাবাদে। তবে রশিদ খানকে বাদ দেওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। সে তো যে কারও একাদশেই থাকবে। তবে কেকেআরের হয়ে আইপিএল জেতায় সুনীলকে বেছে নিতে আমার ভাবতে হয়নি। হায়দরাবাদের আরও কয়েকজনকে নিতে পারতাম, তবে আমি, মনীশ ও ইউসুফ তো হায়দরাবাদেও খেলেছি। (হেসে) তাহলে তো ৫ বনাম ৬ হলো, তাই না।’
সাকিব স্বীকার করলেন জ্যাক ক্যালিস, ব্রেট লি ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো সতীর্থদের বাদ দেওয়াটা সহজ ছিল না, ‘ওঁদের মতো গ্রেট খেলোয়াড়দের বাদ দিতে হলো। কী করবো বলুন, আমাকে তো একাদশ বেছে নিতে হয়েছে।’
সাকিবের আইপিএল একাদশ
১. ডেভিড ওয়ার্নার
২. রবিন উথাপ্পা (উইকেটকিপার)
৩. গৌতম গম্ভীর (অধিনায়ক)
৪. মনীশ পান্ডে
৫. সাকিব আল হাসান
৬. ইউসুফ পাঠান
৭. আন্দ্রে রাসেল
৮. সুনীল নারাইন
৯. ভুবনেশ্বর কুমার
১০. লক্ষ্মীপতি বালাজি
১১. উমেশ যাদব