মোঃ আশিকুর রহমান আব্দুল্লাহ, সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরা জেলায় আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামে এক শিক্ষক বৈধ ভাবে জমি ক্রয় করে দখলে গেলেও, নানা অজুহাতে বিপাকে রয়েছেন তিনি। বুধহাটা গ্রামের “শিক্ষক আবুল হোসেন” বুধহাটা গ্রামের মৃত মোজাহার মোড়লের ছেলে “মফিজুল ইসলাম (খোকন)” এর নিকট থেকে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রেজিষ্ট্রী কোবালা দলিলে ৪ শতক জমি ক্রয় করেন।
এসময় তার ছোট ভাই গোলাম মোস্তফা, মা ও শরীকদের মতামত ও সম্মতি নিয়ে জমি ক্রয় করেন তিনি। দ্বাতা পরবর্তীতে তাকে দখল বুঝে দেন এবং সেখানে জমির অংশবিশেষের উপর তার মায়ের ভাঙ্গা ও খুবই নাজুক ঘর ছিল। যা বসবাসের সম্পূর্ণ অনুপোযগী। দীর্ঘদিন সেখানে তিনি বসাবস করেন না, যেখানে রান্না ও কাঠকুটো রাখা হয়।
ঘর সরিয়ে না নেওয়ায় তার ছেলেরাসহ ক্রেতারা নানা ভাবে তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি বুঝতে চাননা। বাধ্য হয়ে তিনি বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করলে মানবিক কারণে চেয়ারম্যান সাহেব বৃদ্ধা মাকে কিছু জমি দিতে হবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ২৩ আগষ্ট সরেজমিনে মাপজোকের ব্যবস্থা করেন। এবং দু’ছেলের জমির মাঝ বরাবর ৫ ফুট চওড়া করে ৭৬ ফুট লম্বা জমির সীমানা নির্ধারন করে দেন।
কিন্তু এরপরও তিনি ঘর সরিয়ে না নেওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া দেড় মাস পূর্বে মফিজুলের মা ভাঙ্গা ঘর মেরামত করতে গেলে ক্রেতাপক্ষ বাধা দিলে সেখান থেকে কাজ বন্ধ রয়েছে। এদিকে আবুল হোসেনের স্ত্রী মফিজুলের মায়ের সাথে ঘর সরানোর জন্য কথা বললে তিনি সরাতে অনুমতি দেন।
গত শুক্রবার ঘর সরাতে গেলে বৃদ্ধা লাঠি নিয়ে আঘাত করলে তারা আর কাজ করেননি। বৃদ্ধার বড়পুত্র মফিজুল বলেন, আমাদের সবার সম্মতিক্রমে জমি বিক্রয় করে অন্যত্র জমি ক্রয় করে সখানে বাড়ি করেছি। সেখানে মায়ের জন্য একটি কক্ষ আছে।
আমার সন্তান হিসাবে মায়ের সকল দায়িত্ব নিয়ে থাকি ও নিতে চাই। কিন্তু মা সেখানে যাচ্ছেনা। এমনকি সেখানে এক শতক জমি মা চাইলে তার নামে লিখে দিতে রাজি আছি।
কিন্তু কিছু কুচক্রী মানুষের যুক্তিতে মা ঝামেলা করছে। তিনি মাকে তার কাছে নিতে চান। ক্রেতা আবুল হোসেনকে অহেতুক প্রশ্নবিদ্ধ ও ক্ষতির মুখে ঠেলে দেওয়ার যে অপচেষ্টা চলেছে তিনি তার নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন।