আকাশ আহমেদ:: বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজতবা হাসান চৌধুরী নুমান বলেছেন, মুসলমানরা যখনই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করেছে তখনই বিজয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে ইসরাইলকে পাল্টা জবাব দেওয়ার মাধ্যমে হামাস এটা প্রমাণ করেছে যে, মুসলমানদের উপর যখনই আঘাত আসে তখন তাঁরা সীমিত সামর্থ্য দিয়েও লড়াই করতে জানে। ইসরাইল গত অর্ধ-শতাব্দী ধরে স্বাধীন ফিলিস্তিনিদের উপর নির্মমভাবে নিপীড়ন চালিয়ে আসছে, যা স্পষ্টত মানবতাবিরোধী। কিন্তু জাতিসংঘসহ বিশ্বনেতৃত্ব কখনই ইসরাইলি বাহিনীকে সন্ত্রাসী বা জঙ্গী আখ্যায়িত করেনি, কিন্তু এসব নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে হামাস যখনই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ জানিয়েছে তখনই তাদেরকে সন্ত্রাসী বা জঙ্গী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তাই বিশ্ব সম্প্রদায়ের এমন বৈষম্যমূলক মনোভাব পরিহার করা উচিত। মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা অবশ্যই আশাব্যঞ্জক, ইসরাইলের এ ঘোষণা ভবিষ্যতেও চলমান রাখতে বিশ্বনেতৃত্বকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
গতকাল ২১ মে শুক্রবার, বাদ জুমআ বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট জেলা ও মহানগরীর উদ্যোগে মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিনের উপর ইসরাইলি বাহিনীর ন্যাক্কারজনক বর্বর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সিলেট পূর্ব জেলার সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ বাবুর সভাপতিত্বে ও সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ সিলেট মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা ও তালামীযে ইসলামিয়ার সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা আখতার হোসাইন জাহেদ।
মিছিল-সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নজমুল হুদা খান, মাওলানা নজীর আহমদ হেলাল, মুফতি মাওলানা বেলাল আহমদ, মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী, আনজুমানে আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ফারুকী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, সুনামগঞ্জ জেলা আল ইসলাহর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাজুল, জেদ্দা আল ইসলাহর সভাপতি শামসুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক নজরুল হক, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় অফিস সম্পাদক আব্দুল মুহিত রাসেল ও সহ-অফিস সম্পাদক তৌরিছ আলী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাছুম আহমদ, হুমায়ূনুর রহমান লেখন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল করিম মহসিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেদওয়ানুল হক শিমুল, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাফিজ রফিকুল ইসলাম তালুকদার, সহ-অফিস সম্পাদক মাসরুর হাসান জাফরী, স্কুল ও কলেজ বিষয়ক সম্পাদক রেদওয়ান রাশেদ, সিলেট মহানগরীর সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ আজাদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান সাকের, সিলেট পশ্চিম জেলার সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক কবির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কুতুব আল ফরহাদ ও পূর্ব জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান সাদী প্রমুখ।