মুসলেহ উদ্দীন, সীতাকুণ্ড:
চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডে অকেজো হয়ে পড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আঞ্চলিক প্রশিক্ষন কেন্দ্রের বহুমুখী সংস্কার উন্নয়ন শুরু করা হয়েছে। ইজারা পেয়ে রাস্তা, হোস্টেল, অফিস কক্ষ সাজ-সজ্জা, বিদ্যুৎ, টয়লেট, কিসেনের সংস্কার উন্নয়ন শুরু করে ঠিকাদার। এরমধ্যে যেনতেনভাবে রাস্তা ও বাগানের উন্নয়ন কাজ শেষ করে অর্থ তোলার সুযোগ পেয়ে আবাসিক হোস্টেলের জলছাদ নির্মানে লঙ্ঘন করা হয়েছে কাজের সিডিউল।
জানা যায়, আবাসিক হোস্টেলের প্রায় ২৭’শ স্কয়ার ফিটের জলছাদে ২৫০ বস্তার স্থলে ব্যবহার করা হয়েছে নিন্মমানের ১৫০ বস্তা সিমেন্ট। এছাড়া ঢালায়ে আড়ায় ইঞ্চি না দিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে নিন্মমানের রড।
এ পরিস্থিতিতে নিন্মমানের রড-সিমেন্ট ব্যবহার করিয়ে লাখ লাখ টাকার জলছাদ নির্মান কাজে আসবে না বলে আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, কাজের অনিয়ম করতে বন্ধের দিনে দেয়া হয়েছে জলছাদের ঢালায়। অফিস কর্মকর্তা এবং ইঞ্জিনিয়ার অফিসের লোকজনের অগোচরে তড়িগড়ি করে ঢালায় কাজ শেষ করে ঠিকাদার। ফলে প্রতিটি কাজে ভর করেছে অনিয়ম।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা আঞ্চলিক প্রশিক্ষন কেন্দ্রের কর্মকর্তা চয়ন বড়ুয়া বলেন, কাজ দেখার দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়ার ডির্পাটম্যান্টের। উন্নয়ন কাজের ধারনা না থাকায় কাজ দেখবালের কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানান তিনি।