জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, কুয়াকাটা প্রতিনিধিঃ
কুয়াকাটার মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ বিহারের জমির অবৈধ স্থাপণা অপসারনের দাবিতে বিহার কমিটির উদ্যোগে (শনিবার) বেলা ১১ টায় মানব বন্ধন কর্মসুচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে রাখাইন সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু অংশ গ্রহন করেন। এ কর্মসুচিতে সীমা বৌদ্ধ মন্দিরের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু, বেতকাটা বৌদ্ধ বিহারের
প্রতিনিধি মংচো তালুকদার, পক্ষিয়াপাড়া বৌদ্ধ মন্দিরের প্রতিনিধি অংজোয়ে, পটুয়াখালী
বুড্ডিস্ট ওয়েল ফেয়ার এসাসিয়েশনের সভাপতি এমং তালুকদার ও নারী রাখাইন মাচুষে অন্যান্যের
মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
মন্দিরের পুরোহিত উত্তম ভিক্ষু জানান, ১৯১১ সালে স্থানীয় রাখাইন সম্প্রদয়ের লোকজনের উপাসনা ও ধর্মীয় শিক্ষার লক্ষ্যে এ সীমা বৌদ্ধ মন্দিরটি স্থাপিত হয়। এশিয়া মহাদশের অন্যতম বৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তিটি এ মন্দিরে স্থাপিত হওয়ার কারনে এখানে দেশি বিদেশী অনেক পর্যটকের সমাগম ঘটে।
জার্মান সরকারের অর্থায়নের ১.৮৬ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ মন্দিরটি ২০১৩ সালে রুপায়ন করা হয় এবং চারদিকে সীমনা দেয়াল ও কাটা তারের বেড়া দেয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় অসাধু লোক বিহারের সামনের জায়গা দখল করে দোকান ঘর তুলে দখলে নেয়। মানবিক কারনে মন্দির কর্তৃপক্ষ ওইসব স্থাপনা এতদিন বহাল রাখলেও সেগুলো মন্দিরের সৌন্দর্য বিনষ্ট করায় সম্প্রতি দখলদারকে তাদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে অনুরোধ করে কিন্তু দখলকারিরা এতে কর্নপাত করছেন না। উল্টো জমির মালিকানা দাবী করে স্থানীয় হাজী মোহাম্মাদ সেকান্দার আলী রাখাইনদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা করে। যার দেওয়ানী মোকাদ্দমা মামলা নং ৫৯/২০২১। এ ব্যাপারে মন্দির কর্তৃপক্ষ গত ২৮ ফেব্রæয়ারি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা কামনা করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।মন্দিরের সামনে স্থানীয় ৮ জন ব্যবসায়ী দোকান ঘর তুলে হোটেলসহ নানা ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এদের একজন চা দোকানী মাইনুদ্দিন জানান, আমরা কয়েক বছর ধরে এখানে
ব্যবসা করছি। তবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি তারা যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই মেনে নেব।এ ব্যাপারে পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জি এম সরফরাজ সাংবাদিকদের জানান,রাখাইনদের অভিযোগ পেয়েছি। কাগজপত্রসহ উভয়পক্ষকে ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।