সুনামগঞ্জে বন্যার সার্বিক পরিস্থিতির কোথাও উন্নতি, আবার কোথাও অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। গত চার দিন ভারী বৃষ্টি না হওয়া এবং উজান থেকে ঢলের পানি কম নামায় নদী ও হাওরে পানি কমছে। তবে পানি ধীরে কমায় বিভিন্ন উপজেলায় পানিবন্দী মানুষজন এখনো দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে গত শুক্রবার থেকে বন্যা দেখা দেয়। জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক ও সদর উপজেলা প্রথমে প্লাবিত হয়। এসব এলাকার লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েন। জেলায় ১২৭ আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ১৯৪টি পরিবার আশ্রয় নেয়। এসব উপজেলায় পানি কমেছে। তবে এখনো মানুষের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে পানি রয়েছে। এরপর প্লাবিত হয় জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ ও ধরমপাশা উপজেলা। এসব উপজেলায় এখনো পানিবন্দী আছেন মানুষজন। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নিচু এলাকায় এখনো ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাটে বন্যার পানি রয়েছে।
বন্যার পানির তোড়ে সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার সড়কের নোয়াগাঁও এলাকা ভেঙে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে সরাসরি যান চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। একইভাবে সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কের উজ্জ্বলপুর এলাকা ভেঙে যাওয়ায় সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়কে। বিশ্বম্ভরপুর-তাহিরপুর সড়কের দুটি স্থান বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় আজ শুক্রবার পর্যন্ত ওই সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমীর বিশ্বাস জানান, তাঁর উপজেলায় বন্যা–পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মানুষের বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। যাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন, তাঁদের অনেকেই বাড়িঘরে ফিরেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী প্রিতম পাল জানান, ভারতের চেরাপুঞ্জি এবং সুনামগঞ্জে গত চার দিন বৃষ্টি কম হওয়ায় সুনামগঞ্জের বন্যা–পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে জানান তিনি।
সূত্রঃপ্রথম আলো