চ্যাম্পিয়নস লিগের মজাটাই এখানে। মঞ্চ যা-ই হোক কখন কী ঘটবে বলা যায়। ছোট দলগুলোর কাছে কুপোকাত হচ্ছে বড়রা কিংবা কেউ ছন্দে থাকলে প্রতিপক্ষকে গোলের আগুনে পুড়িয়ে কিছু রাখছে না। তাতে প্রতি মৌসুমেই পাল্টে যায় চ্যাম্পিয়নস লিগের খেরোখাতা। এবার যেমন দেখা গেল নতুন নজির। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এই প্রথম স্পেন, ইতালি ও ইংল্যান্ড থেকে কোনো দল নেই!
শেষ কোপটা কাল মেরেছে অলিম্পিক লিঁও। ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে ফরাসি ক্লাবটি। ইংলিশ ধনকুবের ক্লাবটির হারের আগে স্পেনের দুই প্রতিনিধি বার্সেলোনা ও অ্যাটলেটিকো হেরেছে জার্মানির দুই ক্লাবের কাছে, বায়ার্ন মিউনিখ ও লাইপজিগ। ইতালি থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসা আটালান্টা বিদায় করেছে ফরাসি ধনকুবের পিএসজি। সেমিফাইনালে তাই রইল শুধু জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রতিনিধি। শিরোপাটা যে এ দুটি দেশের কোনো ক্লাবের ঝুলিতে উঠছে তা নিশ্চিত।
১৯৯২ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরুর পর সেমিফাইনালে এই প্রথম স্পেন, ইতালি ও ইংল্যান্ডের কোনো প্রতিনিধি নেই। তবে প্রতিযোগিতাটির আগের সংস্করণ (ইউরোপিয়ান কাপ) বিবেচনায় নিলে তথ্যটা একটু পাল্টাবে। ইউরোপের সেরা ক্লাব হওয়ার এ টুর্নামেন্টের প্রথম সংস্করণ মাঠে গড়ায় ১৯৫৬ সালে। ১৯৯২ সালের আগ পর্যন্ত এর নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। এ সংস্করণ বিবেচনায় নিলে মাত্র একবারই এমন নজির দেখা গেছে। সেটি চ্যাম্পিয়নস লিগ মাঠে গড়ানোর আগের বছর।
ঠিক ধরেছেন, ১৯৯১ সাল। সেবার সেমিফাইনালে উঠেছিল বায়ার্ন মিউনিখ, স্পাতার্ক মস্কো, রেডস্টার বেলগ্রেড ও মার্শেই। অর্থাৎ জার্মানি থেকে বায়ার্ন, রাশিয়া থেকে মস্কো, সাবেক যুগোস্লাভিয়া (বর্তমানে সার্বিয়া) থেকে রেডস্টার ও ফ্রান্স থেকে মার্শেই। এবারের আগে শুধু সেবারই শেষ চারে ছিল না ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে শীর্ষ তিন দেশের (ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালি) কোনো প্রতিনিধি। ২৯ বছর আগের সেই নজিরই এবার মনে করিয়ে দিল জার্মানি ও ফ্রান্সের দুটি করে ক্লাব। তবে ইউরোপিয়ান কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ মিলিয়ে এবারই প্রথম সেমিতে দেখা গেল ফ্রান্সের দুটি দলকে। উয়েফা কাপে একবার এমন নজির দেখা গিয়েছিল। সেটি ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে অক্সেরে ও পিএসজি।
সূত্রঃপ্রথম আলো