রাবি প্রতিনিধি
প্রতিবারের ন্যায় এবারও ২৯ রোজায় সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নচারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বেশীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিভিন্ন মতাদর্শের শতাধিক ব্যক্তিকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এটি।
অনুষ্ঠানে সংগঠনটির আহ্বায়ক ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিনুর বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফজলুল হক বিশ্বাস। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন মিটন আল ফালাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ের পরিচালক মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন শংকরদিয়া কলেজের প্রভাষক সাহাঙ্গীর হোসেন, কুর্শা ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম রুনা, ছাতিয়ান ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার ও স্বপ্নচারা ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম, ছাতিয়ান ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম দুলাল (মেম্বার), ছাতিয়ান ইউনিয়ন জাসদের সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক জোয়ার্দার, আনারুল করিম ও হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শোন্দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কামাল হোসেন, মাজিহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোজগার আলীসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ফাউন্ডেশনের সাবেক ও বর্তমান সদস্য এবং তিন গ্রামের যুবসমাজের একাংশসহ শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফজলুল হক বিশ্বাস বলেন, হাদিস অনুযায়ী, যে ব্যক্তি পুরো রমজান মাস পাওয়া সত্ত্বেও নিজের গুনাহ ক্ষমা করে নিতে সক্ষম হলোনা, তার মত হতভাগা আর নেই। তাই, রমজান মাসের রোজাসহ সকল ইবাদতগুলো যথাযথভাবে পালন করা আমাদের জন্য জরুরি ছিল। এবার আমরা কে কতটুকু সেটা পালন করতে পেরেছি, জানিনা। আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে আগামীতে আমরা এবিষয়ে আরো সচেষ্ট হবো, ইনশাআল্লাহ।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, একটি হাদীসে কুদসিতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘রমজান মাস বাড়ার সাথে সাথে এর ফজিলতও বাড়তে থাকে’। কিন্তু আমাদের কি দুর্ভাগ্য যে, রমজান মাসের ফজিলত বাড়ার সাথে সাথে মসজিদের মুসল্লী সংখ্যা কমতে থাকে। আমরা উল্টো চলছি। এটা সংশোধন করতে হবে। রমজানের শেষেও নামাজ পড়তে হবে। নামাজ শুধু একটা মাসের জন্য না। জীবিত থাকা পর্যন্ত নামাজ ছাড়া যাবেনা।
সভাপতির বক্তব্যে স্বপ্নচারা ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সেলিনুর বিশ্বাস বলেন, ইফতারের এমন আয়োজন সবার মধ্যে সৌহার্দ্য তৈরি করে। রমজান মাস সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করার এক অনন্য সুযোগ। ইফতারের সময় খাবার ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসায় আবদ্ধ হন ইফতারকারীরা। এই উদ্দেশ্যগুলো সামনে রেখেই আমাদের এই আয়োজন। তিন গ্রামের বিভিন্ন মতাদর্শের অনেকেই এক জায়গায় বসে ইফতার করছে, সম্প্রীতি সৃষ্টি হচ্ছে। এটা একটা ইতিবাচক বিষয়। এর মাধ্যমে তিন গ্রামের সবাই উপকৃত হবে আশা করি।
উল্লেখ্য, কিছু যুবকের হাত ধরে স্বপ্নচারা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালে। সংগঠনটির কার্যপরিধি হলো- সমাজ ও ছাত্রকল্যাণ, স্বাস্থ্যসেবা, ক্রিড়া, রক্তদান ও জনসচেতনতা সৃষ্টি। তাদের স্লোগান- শিক্ষা, শক্তি, উন্নয়ন। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রামনগর, বেশিনগর ও নওদাকুর্শা গ্রামের ছাত্র ও যুব সমাজকে নিয়ে গঠিত ফাউন্ডেশনটি। স্বপ্নের সোনার মানুষ গড়ায় সংগঠনটির উদ্দেশ্য।
তারিফুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়