সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি:
স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে পরিচালিত হচ্চে সীতাকুণ্ড সদরে অবস্থিত হাজ্বী বিরিয়ানী হাউস নামে একটি খাবার হোটেল।
সীতাকুণ্ডে ভোক্তাধিকার, বি.এস.টি আই, নিরাপদ খাদ্য আইন, স্যানিটারী আইন, ভ্যাট-টেক্স, স্বাস্থ্যবিধিসহ কোনো আইনই মানছে না হাজ্বী বিরিয়ানী হাউসসহ কয়েকটি খাবার হোটেল।
এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি বর্তমানে করোনা ভাইরাস প্রকোপ বৃদ্ধিরও আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সমূহের তদারকি কম থাকায় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠানগুলি। ক্ষুদ্র পরিসরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সদরে পরিচালিত হচ্ছে বিরিয়ানী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হাজী বিরিয়ানী হাউস।
স্বাস্থ্যহানীকর মসল্লার ব্যবহারের করায় ব্যবসার শুরুতে জরিমানা গুনতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ আইনের আওতায় আসার পরও পরিবর্তন আসেনি ব্যবসার পরিচালনার ধরন। অভিযানের সময় আইন কর্তাদের নিয়ম মানার প্রতিশ্রুতি দিলেও চলছে পুরোনো নিয়মে।
এ অবস্থায় দীর্ঘ বছর আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে চলতে থাকায় দিনে দিনে হয়ে উঠেছে আরো বেপরোয়া এসব প্রতিষ্ঠান। যে কারনে দেশব্যাপী করোনা পাদুর্ভাবের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মানতে প্রশাসনের কড়াকড়ি নির্দেশনা থাকলেও আইনের তোয়াক্কা করছে না। খাদ্য পরিবেশনে নেই হ্যান্ড গ্লাবস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং কারো মুখে নেই মাক্সের ব্যবহার।
ফলে প্রতিনিয়ত চরমহারে করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে প্রতিষ্ঠানে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা। তবে হাজী বিরিয়ানীতে করোনা আসবে না, তাই স্বাস্থ্যবিধি ও অন্যান্য আইন মানার প্রয়োজন নেই বলে জানান কর্তৃপক্ষ। আর এভাবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নজরধারীর অভাবে আইন মানছে না হাজী বিরিয়ানীসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও খাদ্যদ্রব্য বিতরন- বিতরনের ক্ষেত্রে সব প্রতিষ্ঠানকে আইন মানতে হবে। তা না হলে অভিযান পরিচালনা করে সকল-ব্যক্তি- প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা হবে। তাই আইনের ব্যবহার নিশ্চিতে খুব শীঘ্রয় অভিযান পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।