আরিফ হোসাইন, ববি প্রতিনিধি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি)শের-ই-বাংলা হলের ক্যান্টিন পরিচালকের অংশীদার সুমন এবং সকল কর্মচারী পালিয়ে যাওয়ায় হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেছে হলের ক্যান্টিন। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন হলের প্রায় ৫ শত আবাসিক শিক্ষার্থী।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে হলের ক্যান্টিনে গেলে শিক্ষার্থীরা ক্যান্টিন বন্ধ দেখেন। পরবর্তীতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের ক্যান্টিন ও বাহিরের খাবার হোটেল থেকে নাস্তা করে।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাতের খাবার পরিবেশনের পর আজ সকাল থেকেই খোঁজ নেই সুমন ও কর্মচারীদের,তারা পালিয়ে গেছেন। তাই ক্যান্টিনে দায়িত্বরত মো. বেলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ক্যান্টিনের পরিচালক ও বাবুর্চি মোঃ বেলাল হোসেন জানান,তিনি একা পেরে না ওঠায় সমুনকে শেয়ারে নেন কিছুদিন আগে। হলের ক্যান্টিন চালাতে গিয়ে লোকসান ও ঋণের সম্মুখীন হয় তারা।ক্যান্টিনর টাকা-পয়সার হিসাব ছিল সুমনের কাছে। আজ মাসের শেষদিন ক্যান্টিনে আয়-ব্যায়ের হিসাব করা হবে, যথাযথ হিসাব দিতে পারবে না বলে। ক্যান্টিনের গ্যাস মালিকদের ও অন্যান্যদের টাকা পরিশোধ করার চাপ সহ্য করতে না পেরেই সে ও তার লোকেরা পালিয়েছে। এখন তিনিও বিপদে আছেন।
দুপুরের ক্যান্টিন চলবে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, সুমন ও তার লোকেরা পালিয়ে যাওয়ার কারণে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় রান্নার জন্য তরকারি ও গ্যাস কেনা সম্ভব না। এই মূহুর্তে রান্নার কাজে হাত দিতে পারছি না। আপাতত ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সিফাত জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ হলের খাবারের মান খুবই খারাপ, সেই সাথে আগের থেকে দামও বাড়িয়েছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আমরা হোটেলে না হয় পাশের বঙ্গবন্ধু হলে খেতে যাই। তাই তাদের তেমন বিক্রয় হতো না,ঠিকমতো খাবার না চললে তো লোকসান হবেই।
হলের ২য় তলার আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, শেরে বাংলা ও বঙ্গবন্ধু হলের খাবার দাম একই, কিন্তু শেরে বাংলা হলের থেকে বঙ্গবন্ধু হলের খাবারের মান ভালো হওয়াতে এই হল থেকে গিয়ে বঙ্গবন্ধু হলে খাই।যেহেতু হোটেলেও খাবার দাম প্রায় একই, আমরা হোটেলেও খাই।
পলাতক ক্যান্টিন পরিচালক সুমনকে ফোন দেয়া হলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে শের-ই-বাংলা হলের প্রাধ্যক্ষ আবু জাফর মিয়া বলেন, ক্যান্টিনের লোকজন পালিয়ে গেছে তাই আজকে ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে । আগামীকাল থেকে রান্না হবে।
আরিফ হোসাইন, ববি
০১৬০৯১০৬১১১