রাবি প্রতিনিধি:
আধুনিক যুগে পিছিয়ে পরা একটি জনগোষ্ঠী হলো হরিজন সম্প্রাদায়। তাদেরকে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সার্বিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মোঃ হামিম খাঁন, সাদিয়া ওয়াসিমা, মেহেরীন শবনম ওহী ও নিলা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
তারা লিখিত এক বিবৃতিতে জানান, আমরা লঞ্চ করছি আমাদের স্বপ্নের প্রকল্প “প্রজেক্ট সৌহার্দ্য”। এই প্রকল্পটির প্রতিষ্ঠাতা-সদস্যরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এসেছেন। আমরা এই প্রজেক্টটি শুরু করেছি মার্চের ১০ তারিখ। বিভিন্ন বিচিত্র প্রেক্ষাপট থেকে এসে আমরা একটি পরিবর্তন নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখি। এই প্রজেক্টটি আমরা সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে পরিচালনা করছি।

হরিজন সম্প্রদায়ের উপর আমাদের প্রকল্পের ফোকাস তাদের পদ্ধতিগত প্রান্তিকতা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে সীমিত প্রবেশাধিকার এবং স্থায়ী দারিদ্র্য ও বৈষম্য থেকে উদ্ভূত। আমাদের লক্ষ্য হল পূনর্ব্যবহার পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়ন করা এবং একটি পরিবেশবান্ধব বিশ্ব তৈরিতে অবদান রাখা।
হরিজন সম্প্রদায় শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সীমিত, পদ্ধতিগত অবিচার, বৈষম্য, দারিদ্র্য এবং সামাজিক বর্জন সহ অসংখ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন।
আমরা হরিজন সম্প্রদায়ের মধ্যে প্লাস্টিক দূষণ, অ্যালুমিনিয়ামের বর্জ্য এবং খাদ্যের অপচয়ের মতো পরিবেশগত সমস্যাগুলোর বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। এটি পরিবেশগত ক্ষতি প্রশমিত করতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জ্ঞান দিয়ে তাদের ক্ষমতায়ন করবে।
আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে, ৩রা মে একটি অধিবেশনের আয়োজন করি যেখানে পরিবেশগত সমস্যা সম্পর্কে এ সম্প্রদায়ের মানুষরা জানতে পারে।
সেই লক্ষে ১১ই জুন রাজশাহী হরিজন পল্লির কালচারাল ক্লাবে আমরা ২৫ জন হরিজন নারীকে নিয়ে প্রথম ট্রেইনিং সেশনের আয়োজন করি। পূর্বেই আমরা কিছু নারীর তালিকা তৈরি করেছিলাম যারা পূর্ববর্তী সেশনে প্রশিক্ষন নেয়ার জন্য ইচ্ছুক ছিল। এটাই ছিল আমাদের প্রথম প্রশিক্ষন সেশন। যেহেতু প্রশিক্ষন একটি পরিকল্পিত কার্যক্রম। এইজন্য আমরা কিছু বিশেষ বিষয়ের উপর ফোকাস করেছি। প্রথমত দক্ষ কারিগর দ্বারা তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা এবং মানসম্মত পণ্য তৈরি করা। দ্বিতীয়ত পরিবেশের জন্য ভালো হয় এমন কিছু করার প্রয়াস। সেই লক্ষ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্লাস্টিক বর্জ্যকে কাজে লাগানোর। প্রথম প্রশিক্ষন সেশনে আমরা তাদের শিখিয়েছি কিভাবে প্লাস্টিকের বোতল বা ক্যাপ রিসাইকল করে বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করা যায় যেমন ফুলের টব, কলমদানি ইত্যাদি।
বর্তমানে তাদের কার্যক্রম এখনো চলমান এবং বভিষ্যতে চালমান থাকবে।
তারিফুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়