জাহিদুল ইসলাম জাহিদ কুয়াকাটা( পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:-
পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলা লতাচাপলী ইউনিয়ন, কুয়াকাটা পৌর পর্যটন এলাকায়, একটি হাসপাতাল থাকলেও সে হাসপাতালটি নামে রয়েছে।
কুয়াকাটায় ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নেই সরকারি এ্যাম্বুলেন্স সহ, কোন রোগী দেখার সরঞ্জাম ফলে অপারেশন থিয়েটারও কাজে আসে না।
এর করনে ইমারজেন্সি রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
লতাচাপলী ইউনিয়ন কুয়াকাটা পৌরসভা সহ ৪০ হাজারের অধিক পরিবার এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকেন। কিন্তু কিছু যন্ত্রপাতি থাকলেও ব্যবহারের অভাবে সে যন্ত্রপাতি দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
২০১২ সালে হাসপাতালে কার্যক্রম শুরু হলেও, কিন্তু নানা সমস্যার জন্য সেবা দিতে পারছে না হাসপাতালটি, ৬ জন ডাক্তার ৬ জন নার্স সহ মোট ২৫ জন স্টাফ থাকার কথা থাকলেও, এখন আছে ২ জন ডেপুটেশন সহ মোট ৩ জন ডাক্তার স্টপ আছেন ১১ জন এরপর আবার করোনা মহামারীর মধ্য দায়সারা ভাবে চলছে তাদের কার্যক্রম অ্যাম্বুলেন্স সেবা ও পাচ্ছে না এইসব এলাকার মানুষেরা এজন্যই প্রতিনিয়ত চিকিৎসা ছাড়াই প্রাণ হারাতে হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষের ।
এ যেন হাসপাতাল হয়েও সুখের দেখা তো দূরের কথা ,আদিম যুগের মত চিকিৎসা ছাড়াই এখনো প্রাণ হারাতে হচ্ছে তাদের।
কিন্তু যখন এই ৪০ হাজার পরিবারের মধ্যে থেকে যেকোনো একটি পরিবার দুরু ভোগে পড়ে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালের বারান্দায় চলে আসে তখনি নানা কাহিনী ভেসে আসে যেমন ডাক্তার সংকেত নেই কোন যন্ত্রপাতি ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা ছাড়াই জীবন হারাতে হয় ।
এর বিষয় স্থানীয় জনগণ জানান এই হাসপাতালে সুচিকিৎসা দেওয়ার মতো কিছুই নেই, যেমন স্কু মেশিন নাই, ব্লাড টেস্ট নাই, ডাক্তার যে পরিমাণ থাকার কথা সে পরিমাণে ডাক্তার নেই, দু-চারজন থাকলেও চিকিৎসা দিতে পারছে না তারা, এবং এমার্জেন্সি কোন রোগীকে বরিশাল ঢাকা পাঠাতে নেই কোন অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যবস্থা।
এই রোগীকে ঢাকা-বরিশাল পাঠাতে হলে দু’ঘণ্টা পর অ্যাম্বুলেন্স আসে নেয়ার জন্য ফলে চিকিৎসা ছাড়াই মারা গেছে অনেকে, এ কারণে চরম দূর্ভোগে মধ্যে রয়েছে এই অঞ্চলের জনগণ ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিন্ময় হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, অ্যাম্বুলেন্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির জন্য কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছে আশা করছি শীঘ্রই অ্যাম্বুলেন্স সহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি দেওয়া হবে।
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসক মতিউর ইসলাম চৌধুরী সে বলেন, হাসপাতালে যে সরঞ্জাম প্রয়োজন আছে অ্যাম্বুলেন্সসহ সব গুলোর ব্যবস্থা নিবে জেলা প্রশাসক।
মহামারী করোনা ভাইরাসের অভিশাপে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা এবং হাসপাতালটির সব সমস্যা দূর করার দাবি কুয়াকাটাও লতাচাপলী বাসির।