মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় বরাদ্দপ্রাপ্ত দশ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মানাধীন বাড়ীতে পাম্প স্থাপনে ব্যাপক অনিয়ম ও দৃর্নীতির অভোযোগ পাওয়া গেছে। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নামে বাড়ী নির্মাণের জন্য বদলগাছী উপজেলায় দশ জন মুক্তিযোদ্ধাদের নামে বরাদ্দ আসে। প্রতিটি বাড়ী নির্মানের জন্য ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। টেন্ডারে নওগাঁর আব্দুস ছালাম নামী এক ঠিকাদার দশটি বাড়ী নির্মাণের জন্য কাজটি পান। উক্ত ঠিকাদার কর্তৃক বাড়ী নির্মানাধীন অবস্থায় প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় থেকে পাম্প স্থাপনের জিনিষ পত্র নিয়ে ঢাকা থেকে বদলগাছীতে এসে পাম্প স্থাপন কাজ শুরু করে বলে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের রাজশাহী অঞ্চলের উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান জানান। ১২৫ ফুট বোরিং করে ১২০ ফুট ৪ ইঞ্চি প্লাষ্টিকের পাইব (ফিলটার সহ) বসায়ে এ মধ্য দিয়ে আড়াই ইঞ্চি ৮০ ফিট পাইবের সঙ্গে সাব Ñমারসিবল পাম্প তামার তারের সঙ্গে ঝুলায়ে সর্ব উপড়ে ৫ ফুট স্টিলের পাইবে বেঁধে লোহার ঢাকনার সঙ্গে তার ভাল করে বেঁধে রাখতে হবে লোহার ঢাকনার সাথে।। বদলগাছী উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের চকজয়দেব গ্রামের বীর মুক্তিােদ্ধা মোঃ আফাজ উদ্দিনের সর্বমোট ৬০ ফুট বোরিং করে ৫০ পর্যন্ত দড়ি দিয়ে পাম্প ঝুলায়ে স্থাপন করে। এছাড়াও জগদ্বিশপুর গ্রামের মৃত বীর মু্িক্তযোদ্ধার ইউনুছ আলীর স্ত্রী আঞ্জুআরা বলেন তাদের ৭০ ফুট বোরিং করে ৬০ ফিটে পাম্প স্থাপন করে। অপর দিকে গন্ধর্বপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম,ঝাড়ঘরিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজেদ আলী জানান তাদের নির্মাণাধীন বাড়ীতে ৭০ফুট বোরিং করে ৫০ ফুটে পাম্প স্থাপন করে। ঠিকাদার আব্দুস ছালামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললে ঢাকা হেড অফিস থেকে লোকজন মালামাল নিয়ে এসে পাম্প গুলো স্থাপন করেছে, এবিষয়ে তার করার কিছুই নেই বলে জানান। এবিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আফাজ উদ্দিন ০৩/০৩/২০২২ ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিনের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্ত ( ভারপ্রাপ্ত) ও নির্মাণ কমিটির সচিব মোঃ মাহবুবু রহমান এর সঙ্গে ৭ মার্চ মোবাইল ফোনে এ বিষয়ে কথা বললে পাম্প গুলো কে বা কাহারা স্থপন করেছে তা তিনি কিছুই জানেন না বলেন।নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিনকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়ে কোন সুফল পাননি অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধরা। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্মাণ কমিটির সভাপতি আলপনা ইয়াসমিনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে কথা বললে তিনি ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঠিকাদার আব্দুস সালামকে বলবেন বলে জানান। উল্লেখিত উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানর রহমানকে পাম্প স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ করেও কোন সুফল পায়নি অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মাণাধীন বাড়ীতে প্রাক্কলন বহিভুত এবং অনিয়মতান্ত্রিকভাবে পাম্প স্থাপন করা একটি দুর্নীতিমুলক কাজ বলে উপরোল্লিখিত বীর মুক্তিযোদ্ধারা এই সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সুদুষ্টি কামনা করেছেন বলে তারা এই প্রতিনিধিকে বলেন।