মুজাহিদ হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ জুন) সকালে ও বিকালে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বালুভরা ইউনিয়নের নিহনপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু পাহানের ছেলে বিমল চন্দ্র পাহান (৪০) দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। স্বামী কে রেখে স্ত্রী উপজেলার চাকরাইল গ্রামে ধান রোপনের কাজে যায় এবং তার মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ঘরের ভিতর বাঁশের তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিছুক্ষণপর তার মা বাড়িতে এসে ডাকা ডাকি করে কোনও সাড়া না পেয়ে খোঁজার জন্য ঘরে ঢুকতে গিয়ে ভিতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ পায়। দরজার ফাঁক দিয়ে ঘরের ভিতর তাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার চেচামেচি করলে প্রতিবেশিরা এসে দেখে বিমল আত্মহত্যা করেছে। থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পরিবাররে অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ সৎকারের অনুমতি প্রদান করেন।
অপরদিকে পত্নীতলা উপজেলার আমাইড় ইউপির আড়াইল গ্রামের বাসিন্দা আঃওয়াহেদ ওরফে গেনগেনির ছেলে শাহিনুর ইসলাম(৩৯) বদলগাছী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিন্ডিরা গ্রামে বসবাস করিতেছিলেন।এমতাবস্থায় সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। একই দিন বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তার বাড়ির নিজ শয়নঘরে গলায় রশি দিয়ে সে আত্মহত্যা করে। শাহিনুরের স্ত্রী কবিতা স্থানীয় মহিলা কলেজ সংলগ্ন একটি টুপি (ক্যাপ) তৈরির কারখানায় কাজ করেন। প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮ টার সময় সে ঐ কারখানায় কাজে চলে যান। কর্মস্থল থেকে বিকালে বাড়িতে ফিরে তার স্বামীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে তার স্বজনরা বলেন, শাহিনুর দীর্ঘদিন যাবত আর্থিক অভাবের কারণে হতাশাগ্রস্ত ছিল। হতাশা থেকেই সে আত্মহত্যা করেছে।
বদলগাছী থানার ওসি মো. আতিয়ার রহমান বলেন, বিমল পাহান মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। ইতিপূর্বেও সে দুইবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। আর শাহিনুর ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে আর্থিক সমস্যায় হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। দুইজনের পরিবারের পক্ষে কোনও অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।