21.3 C
Bangladesh
Saturday, December 21, 2024
spot_imgspot_img
Homeজন দূর্ভোগপাঁচ বছর আগে সেতুটি বিনষ্ট হল এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি...

পাঁচ বছর আগে সেতুটি বিনষ্ট হল এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি কুয়াকাটায় লতাচাপলী ইউনিয়নে

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ:
চলাচলের রাস্তায় যদি মরণ ফাঁদ তৈরি হয় তাহলে বিনষ্ট হতে পারে সুখের সমাজ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার পযর্টন কেন্দ্র কুয়াকাটার লতাচাপলি ইউনিয়নের কুয়াকাটা খালের ওপর নির্মিত আয়রন সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দুভোর্গে পড়েছে ৭ গ্রামের ৮ হাজার মানুষ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এই চিন্তায় দিন দিন সময় পার করছে কষ্টে থাকা মানুষগুলো।

আয়রন সেতু দিয়ে সবসময় চলাচল করে
খাজুড়া আবাসনের ৮০টি পরিবারসহ ফাশিপাড়া, নয়াপাড়া, মোথাউপাড়া, মেলাপাড়া, শরীফপুর ও বাহাসকান্দা গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে। মহিপুর ও কুয়াকাটাসহ উপজেলা সদরে যাতায়তের একমাত্র পথ এটি। গত ৫ বছর আগে সেতুটি খারাপ অবস্থায় পরিণত হয়। যা ধীরে ধীরে এখন পুরোপুরি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

আয়রন সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী যাতায়ত করে ঝুঁকি নিয়ে এবং চলার পথে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এতে অভিভাবকদের চিন্তার শেষ নেই। অভিভাবকরা বলেন, আমরা বড় মানুষরাই যেখানে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হই। সেখানে বাচ্চারা কীভাবে এ সেতুটি দিয়ে যাতায়ত করবে তা বুঝতে পারছি না।

এবং সাথে সাথে স্থানীয় জনগণ রুহুল আমিন বলেন, গত মাসে আমার মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে, অতি তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে নিতে পারলে আমার বিশ্বাস আমার মাকে বাঁচাতে পারতাম,কিন্তু এই মরণ সেতুটির কারণে বিলুপ্ত হয়ে পড়ে থাকার কারণে গাড়ি এবং মানুষ চলাচল না করার চিকিৎসা ছাড়াই ভোররাত্রে প্রাণ হারাতে হচ্ছে আমার মা। তার প্রশ্ন এমন আর কত মার প্রাণ হারাতে হবে চিকিৎসা ছাড়া, যদি সেতুটি বাস্তবায়ন থাকতো তাহলে নিজেদের বুজ দিতে পারতাম।

এ বিষয়ে খাজুরা আবাসনের সভাপতি আছিয়া বেগম ও সাধারণ সম্পাদক সুধীর চন্দ্র মিস্ত্রী জানান, আয়রন সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করে। এখন যাতায়ত করাই মুশকিল হয়ে পড়েছে। সেতুটি দ্রুত সংষ্কার হলে আমরা বড় ধরনের দুশ্চিন্তা হতে বেঁচে যেতাম।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লতাচাপলী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, কুয়াকাটা খালের ওপর আয়রন সেতুটি সহ আমার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি সেতু অত্যান্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। ব্রিজের নতুন বরাদ্ধ আসার আগ পর্যন্ত মানুষের চলাচলের জন্য সেতুর অদুরে একটি মজবুত সাঁকো করে দিবেন বলেও জানান তিনি।

এই প্রত্যাশা বুকে ধারণ করে প্রতিনিয়ত মরণফাঁদ আয়রন সেতুটি পার হচ্ছে স্থানীয়রা, তাদের প্রত্যাশার ফলন অতি দ্রুতই সেতুটি নির্মাণ হবে এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর।

Most Popular

Recent Comments