কলাপাড়া (পটুয়াখালী )প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর জেলার কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের ছোট ভাইয়ের পৈতৃক সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নিল আপন বড় ভাই। গত 03/05/2023 তারিখ ছোট ভাইয়ের জমিতে মাটি কেটে ভরাট করে 09/05/2023 ইং তারিখ স্থানীয় গন্যমান্য ও থানা পুলিশের নিষেধ অমান্য করে রাতের আধারে ঘর উত্তোলন করে দখলে নিয়েছে বড় ভাই মো. ছরোয়ার আমিন। ফলে হতাশ হয়ে পড়ছে ছোট ভাই মোঃ শামসুদ্দোহা।
দৌলতপুর গ্রামের সাদেক আহম্মেদের ছেলে মো. শামসুদ্দোহা অভিযোগ করে জানান, আমার পিতা বিগত ২০১৪ সালে মৃত্যুবরন করার পরে আমরা তার ওয়ারিশগণ একত্রিত হয়ে ওয়ারিশী সম্পত্তি মুসলিম শরিয়াহ অনুসারে ভাগ ও বন্টন করে নেই। যেহেতু আমার পিতার পটুয়াখালী ও পিরোজপুর জেলায় সম্পত্তি রয়েছে, সেহেতেু আমার রেকর্ড ও পর্চা অনুসারে উভয় জেলা থেকেই হিশ্যা অনুসারে সম্পত্তি বন্টন করে লই। এবং তৎপরবর্তী সময়ে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সোনাতলা মৌজার সম্পত্তি আমিনের মাধ্যমে পরিমাপ করে পিলার দিয়ে সকলের সম্পত্তি প্লট আকারে নিজ নিজ ভোগ ও দখলে নেই। আমার সৎ ভাই মোঃ ছরোয়ার আমিন আমার পিতার বর্তমানেই সে তার পছন্দ মতন প্রাপ্ত সম্পত্তি ভোগ ও দখলে নিয়ে সেখানে প্রায় ২০ বছর যাবত বসবাস করে আসছেন। অপর সৎ ভাই ও বোনগণও তাদের প্রাপ্য সম্পত্তি ভোগ দখলে নিয়ে ২০১৪ সাল থেকে ভোগদখলে ও বিক্রয় করে আসছেন। আমি সবার ছোট এবং চাকরির সুবাদে পিরোজপুর জেলায় অবস্থান করায় আমার সম্পত্তি স্থানীয় কৃষক জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম এর কাছে বর্গাচাষে দিয়ে ভোগ ও দখল করে এ পর্যন্ত আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে আমার ভাই, তার দুই ছেলেদেরকে নিয়ে অন্যায়ভাবে আমাদেরকে অবহিত না করে আমার জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে মূল্যবান গাছ কেটে ও উপরে ফেলে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে জমিতে রাতের আধারে ঘর তুলেছে৷
তিনি আরো বলেন, আমি এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা শোনার সাথে সাথে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বরসহ আমার চাচা মোঃ শাহঅালমকে জানিয়ে কোনো প্রতিকার না পেয়ে, নিরুপায় হয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টি মোবাইলে অবহিত করলে কলাপাড়া থানা পুলিশ তাদেরকে কাজ করতে বাধা নিষেধ করেন এবং আগামী ১৯/০৫/২৩ ইং তারিখ থানায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ পূর্বক উভয় পক্ষ দ্বয়কে থানায় হাজির থাকার নির্দেশ প্রদান করলেও তারা তা উপেক্ষা করে আরো একটি ছাপড়া ঘর আমার জমিতে স্থাপন করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছরোয়ার আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি বাবার জমিতে ঘর উঠাইছি। আগে যে বন্টন করা হয়েছে তা সঠিক ভাবে করা হয়নি। আমি এই জমিতে আরো জমি পাব।
স্থানীয় কৃষক জনাব মোঃ শহীদুল ইসলাম এর কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান,আমি বিগত চার বছর ধরে শামসুদ্দোহার জমি খায়খালাসি রেখে খাচ্ছি। আমি অন্য কারো কাছ থেকে জমি খায়খালাসি রাখি নাই
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল কালাম জানান,আমি ঘটনা শুনছি এবং সরেজমিনে দেখতে গিয়েছিলাম। ভাইদের মাঝে ভাগ বাটোয়ারা সমস্যা সমাধানকল্পে শনিবারে বসার কথা শুনছি।