21.3 C
Bangladesh
Saturday, December 21, 2024
spot_imgspot_img
Homeআন্তর্জাতিকঢাবিতে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী আন্দোলন 'তুফান আল আক্বসার' প্রতি সংহতি প্রকাশ।

ঢাবিতে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী আন্দোলন ‘তুফান আল আক্বসার’ প্রতি সংহতি প্রকাশ।

শেখ সিফাত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়::

ফিলিস্তিনিদের চলমান আন্দোলন তুফান আল আক্বসার সাথে সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করে ঢাবি শিক্ষার্থীরা।।

আজ (৯ অক্টোবর) সোমবার বিকাল ২ ঘটিকার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সন্ত্রাসবিরোধী বিপ্লবী রাজু ভাস্কর্যের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যনারে চলমান ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী আন্দোলন ‘তুফান আল আক্বসা’র সাথে সংহতী জানিয়ে এক বিশাল সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।। উক্ত সমাবেশে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যনারে উপস্থিত ছিলো বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে ‘তাকবির-আল্লাহু আকবর’, ইসরায়েল টেরোরিস্ট-বয়কট ইসরায়েল, ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ-ইসরায়েল মুরতাবাদ’, ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা-ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, লাব্বাইক ইয়া আক্বসা ইত্যাদি বলে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।।

ঢাবির ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ জোবায়ের বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের অত্যাচার পাক হানাদারদের অত্যাচারের সমতূল্য। তাই আমরা তাদের কষ্ট বুঝি। বাংলাদেশ আজীবন তাদের প্রতি সংহতি জানিয়ে আসছে। এজন্য আমরা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্বাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের প্রতি সংহতি জানালাম।’

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলে, ‘ইসরাইলিরা ফিলিস্তিনের সাধারণ মুসলমানের উপর নির্যাতন করছে। আল আক্বসা মুসলমানের প্রথম কিবলা। ফিলিস্তিন মুসলমানদের ভূমি। আমরা ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন সর্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই। ফিলিস্তিনকে সন্ত্রাসমুক্ত চাই। তাই ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার লড়াই ‘তুফান আল আক্বসা’ আমাদেরও লড়াই। আমরা এর সাথে সংহতি জানালাম।”

আইন বিভাগের ছাত্র সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের এই আন্দোলনের সাথে বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয়ভাবে সংহতি জানানো উচিৎ। এর প্রমাণস্বরুপ আবারও পাসপোর্টে Except Israel লিখে দেওয়া উচিৎ।

”ঢাবির আরবি বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী সাইয়্যেদুজ্জামান নূর আলভি বলেন, ‘আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থীরা আমাদের বিশ্বাস ও চেতনার জায়গা থেকে সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের এই স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি আমরা পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করছি।”

সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে রোকেয়া হলে হয়ে, ভিসি চত্ত্বর, রেজিষ্ট্রার বিল্ডিং, সূর্যসেন হল, কলাভবন, সেন্ট্রাল লাইব্রেরী, ডাকসু, সেন্ট্রাল মসজিদ হয়ে আবারো রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিলিত হয়ে সমাবেশ শেষ করে।

Most Popular

Recent Comments