রাবি প্রতিনিধি:
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম (প্রশাসন) এবং সভাপতিত্ব হিসেবে ছিলেন আরেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর (শিক্ষা)। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকর্তা অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্লাহ। আরও উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. অবায়দুর রহমান প্রামানিক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরে প্রধান প্রণব কুমার পান্ডে সহ অনেকেই।
এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি আনন্দ মিছিল নিয়ে এসে আলোচনা সভায় যোগাযোগ দেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল-গালিব সহ ২ শতাধিক নেতা কর্মি।
আলোচক অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্লাহ বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদী দর্শন, অসাম্প্রদায়িক,ধর্মনিরপেক্ষ, গণমুখী, প্রগতিবাদী ও মানবতাবাদী। আর বর্তমান বাংলাদেশে এই জাতীয়তাবাদ চেতনাকে ধরে রাখা সম্ভব নয় একমাত্র শেখ হাসিনা ব্যতিত। কারণ তিনি আমাদের অনুভবে, চিন্তায়, চেতনায় ও আদর্শে আছেন। বাঙালিকে একত্রিত করার জন্য, দেশপ্রেমী জনগণকে একত্রিত করার জন্য, দেশকে কে রক্ষা করার জন্য এবং মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের নিশ্চিত করার জন্য ১৯৮১ সালের ১৭মে তার প্রত্যাবর্তন অত্যন্ত জরুরি ছিল। প্রত্যাবর্তনের শুরুতেই গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার শক্তিশালী অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি গণতন্ত্রের জন্য জন্য লড়াই ও সংগ্রাম করেছেন এবং ভবিষ্যতে করবেন বলে আমরা আশাবাদী।
আরও বলেন, তিনি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করে জেনারেলজে এরশাদ এবং জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘরে তোলেন। তিনিই প্রথম যে সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলেন। সে সময় তিনি বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করে বাঙালি জাতিকে সামরিক শাসন থেকে মুক্ত করেন। এসব আন্দোলনের একমাত্র কারণ হলো বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণের প্রতি প্রেম, মায়া ও মমতা। তিনি বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণের জন্য নিবেদিত, বিচলিত এবং চিন্তিত। এক কথায় তিনি দেশ প্রেমিক। বঙ্গবন্ধু যেমন দেশের মানুষের মুক্তির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন তেমনি তিনি দেশের মানুষের হাত এবং ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে চলছে।
প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে উনার প্রত্যাবর্তন আমরা বাংলাদেশের মানুষ পুনর্শৃঙ্খলা মুক্ত ও পুনর্স্বাধীনতা লাভের কোষালগ্ন হিসেবে তুলনা করতে পারি। তিনি সেদিন সমগ্র বাঙালি জাতির আশা-ভরসার আস্থার সোনালী সূর্য হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন। যা আজ পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। তারে প্রত্যাবর্তন ১৯৭২ সালের ১০শে জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সাথে তুলনা করা যায়। তার প্রত্যাবর্তনে এই বাংলার প্রকৃতি আনন্দ ও কষ্টে কান্নায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিল।
উপ-উপাচার্য হুমায়ুন কবীর বলেন,আজকে আমাদের কৃষি বিপ্লবের ফলে কেউ না খেয়ে আছে এমনটা কেউ বলতে পারবেনা। আসলে বাংলাদেশের মতো ছোট্ট একটি দেশে ১৮ কোটি মানুষের তিন বেলা খাবার,সামাজিক নিরাপত্তা,শিক্ষা, চিকিৎসা সবকিছু নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জের বিষয় কিন্তু বর্তমান বিশ্বের বিরূপ পরিস্থিতিতেও শেখ হাসিনা সবকিছু নিশ্চিত করেছেন।#
তারিফুল ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১৭.০৫.২০২৪