কুয়াকাটা প্রতিনিধি:
শেখ পরিবারের জমি দখলের অভিযোগের করা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে অভিযোগ অস্বীকার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন পটুয়াখালী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
আজ সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১২ ঘটিকায় পটুয়াখালীর কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে মো: ফারুক হোসেন তার পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন।
এসময় ফারুক হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,কুয়াকাটা নিবাসী মোঃ ওসমান গনি শেখ, শেখ মোহাম্মদ সোবাহান, শেখ মোহাম্মদ দোজাহান,কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হইয়া উল্লেখিত এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার এর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করিয়া, মিথ্যা অজুহাত তুলিয়া মিথ্যা দাবি দেওয়া এনে,এলাকার লোকজনকে বিভ্রান্তের মধ্যে ফালাইয়া অযথা, অকারনে, অনৈতিকভাবে উক্ত রুহুল আমিন হাওলাদার এর ব্যবসার সুনাম নষ্ট করার লক্ষ্যে ঈর্ষান্তিয় হয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনের যাবতীয় তথ্য সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণীত। প্রকৃত বিষয় হলো এই যে, সংবাদ সম্মেলন কারী ওসমান গণী শেখ তাহার কুয়াকাটাস্থ ভূমি বিক্রি করার প্রস্তাব করিলে তাহাতে রুহুল আমিন হাওলাদার রাজি ও সম্মত হইয়া গত ইং ০৫/০৭/২০০৬ তারিখে খেপুপাড়া এস. আর সম্পাদিত ও রেজিকৃত ৩০২৪ নং একখানা বায়না দলিল মূলে ০.১২৫০ একর ভূমির দখল বুঝাইয়া দিয়া বায়নাপত্রদলিল খানা সম্পাদন রেজিস্ট্রি করিয়ে দেন এবং পরবর্তী ৬ মাসের মধ্য সাব কবলা দলিল সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি না দিয়া তাল বাহানা করিয়া আসিতে থাকিলে কোনো উপায়ান্ত না পাইয়া উক্ত রুহুল আমিন হাওলাদার এর বায়নার শর্ত মোতাবেক ওসমান গনীর বিক্রি পাওনা টাকা দেশের প্রচলিত আদালতে ১২৬/২০১১ নং চুক্তি প্রবলের মোকদ্দমা দায়ের করেন। যাহা চলমান আছে।
ওসমান গনীর আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন,উল্লেখিত শেখ পরিবারের লোকজন অত্র রুহুল আমিন হাওলাদারের খরিদা ভূমি হইতে তাহাকে বে দখল করিতে পারে। উল্লেখিত ব্যক্তিগন আইন কানুন শালিস ব্যবস্থা কিছুই মানে না। আমি আরো আশংকা করিতেছি যে কুয়াকাটা পর্যটন নগরী ইতিমধ্যে সারাদেশের লোকজনের নিকট ব্যাপক পরিচিতি লাভ করিয়াছে। কিন্তু এভাবে ষড়যন্ত্র করিতে থাকিলে অত্র কুয়াকাটায় দেশ-বিদেশি লোকজন বিনিয়োগ করিতে ভয় পাইবে। যাহার ফলে এলাকার ব্যাপক লোকজন তাহাদের কর্ম সংস্থান হারাইবে।