রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হলগুলোতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কুরআন পুড়িয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার উস্কানির বিরুদ্ধে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার’, ‘আল-কোরআনের অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘একশন টু একশন, ডাইরেক্ট একশান’, ‘ইস্কনের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান’, ‘দালালের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট একশান’ সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে রাবি শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, কাল রাতে গভীর দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করলাম বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় স্পন্দন আল-কোরআনকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজকে এখানে এসে জানতে পারলাম, আরও তিনদিন আগলেও নাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদেও এরকম ঘটনা ঘটেছিলো। আপনারা গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন, গত ৫ তারিখের পরে যারা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে তারাই এই কাজ করেছে। আজ এখান থেকে ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলাম এর ভিতরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদ বলেন, আজকে আমি সকল শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ করতে এখানে এসেছি। আমার মনে হয় প্রত্যেক ধর্মের মানুষই এমন ঘটনায় মর্মাহত হবেন৷ বর্তমান দেশের পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে আমাদের অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো রামুর সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা৷ আমরা আর কোনো দাঙ্গা চাই না৷
মানববন্ধনে বিভিন্ন সংগঠন ও বিভাগের ৫শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। সঞ্চালনা করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কাওসার আল হাবিব।
উল্লেখ্য, রোববার (১২ জানুয়ারি) রাতের কোনো এক সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হল, হবিবুর রহমান হল ও সৈয়দ আমীর আলী হল সহ বিভিন্ন হলে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও শহীদ জিয়াউর রহমান হলের দেয়ালে বিজেপির লোগো আঁকানো হয়েছে।
হাফিজুর রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়