কুয়াকাটা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে ছত্তার মাঝি (৪৫) নামের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৮ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি টোনা মাছ। স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, এই এলাকায় এতো বড় আকারের টোনা মাছ আগে কখনো ধরা পড়েনি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় মৎস্য বন্দর মহিপুরের আড়ৎ ফয়সাল ফিসে মাছটি নিয়ে আসলে নিলামের মাধ্যমে ১৪ হাজার ৮০০ টাকায় কিনে নেয় কুয়াকাটা মাছ বাজারের খুচরো পাইকার ফিস ভ্যালীর পরিচালক মতিউর রহমান। এসময় এত বড় টোনা মাছটি দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা।
জেলে ছত্তার মাঝি জানান,কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে তারা একটি বিশাল টোনা মাছ ধরেন। সামুদ্রিক অন্যান্য মাছের সাথে এই মাছটি ধরা পড়ে। মাছটি দেখে ট্রলারে থাকা বাকি জেলেরাও উল্লাস করেন। তিনি আরো বলেন,২৫ বছর ধরে জেলে পেশায় আছি কিন্তু এত বড় টোনা মাছ এর আগে কখোনোই আমরা পাইনি। এর আগে সর্বোচ্চ ৫-৭ কেজি ওজনের টোনা মাছ পেয়েছি আমাদের জানে।
কুয়াকাটা মাছ বাজারের খুচরো পাইকার ফিস ভ্যালির পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, প্রথমত এত বড় টোনা মাছ আমরা বিগত দিনে এই এলাকায় কোথাও দেখিনি। মহিপুর-আলিপুর এবং কুয়াকাটায় প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার মাছ বেচাকেনা হয় কিন্তু এত বড় টোনা মাছ আমরা এর আগে শুধু অনলাইনে দেখেছি আর সরাসরি এই প্রথম দেখলাম। মাছটি নিলামের মাধ্যমে ৮০০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেছি। ১৮ কেজি ৫০০ গ্রান ওজনের মাছটির মোট দাম এসেছে ১৪ হাজর ৮০০ টাকায়। আশা করছি মাছটি খুব ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
কুয়াকাটার মাছ ব্যবসায়ীরা আলমগীর খান বলেন, এটি এই অঞ্চলের জন্য একটি রেকর্ড। ১৮ কেজি ওজনের টোনা মাছ সাধারণত এই এলাকায় ধরা পড়ে না, এর আগে আমরা সর্বোচ্চ ৭/৮ কেজি ওজনের টোনা মাছ বিক্রি করেছি। কিন্তু এত বড় টোনা এই এলাকায় এটিই প্রথম।
কুয়াকাটা সামুদ্রিক ফিস ফ্রাই মার্কেটের ব্যবসায়ী আল- মামুন বলেন,কুয়াকাটায় পর্যটকদের খাবারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় সামুদ্রিক ফিস ফ্রাই এবং বারবিকিউ। আর এই খাবারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় টোনা মাছ। কিন্তু এত বড় টোনা মাছ আমরা কুয়াকাটায় এর আগে কখনোই দেখিনি এবং বিক্রিও করিনি।তবে এই মাছটি ফ্রাই মার্কেটে নিয়ে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করার ইচ্ছে আছে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে সাড়ে ১৮ কেজি ওজনের টোনা মাছ পাওয়া গেছে, এটি মৎস্যজীবীদের জন্য এক ধরনের প্রাপ্তি।কারণ এর ফলে স্থানীয় মৎস ব্যবসার সম্ভাবনা আরও বৃদ্ধি হবে বলে মনে করি। মূলত এ ধরনের বড় মাছগুলো সমুদ্রের গভীরে চলাফেরা করে থাকে। হয়তো দলছুট হয়ে এই মাছটি উপকূলের কাছাকাছি এসে জেলেদের জালে ধরা পরেছে।