19.3 C
Bangladesh
Friday, November 22, 2024
spot_imgspot_img
Homeআইন ও আদালতকুয়াকাটায় দখলদারদের কবলে ৪৬ বছরের বসত বাড়ি। অন্যের জমিতে বিএস জরিপ সংশোধনের...

কুয়াকাটায় দখলদারদের কবলে ৪৬ বছরের বসত বাড়ি। অন্যের জমিতে বিএস জরিপ সংশোধনের সাইনবোর্ড।


নিজস্ব প্রতিবেদক:
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার ব্যবসায়ী আলমগীর হাওলাদারের বাড়ির জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদা দাবীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি শেখ ইসাহাক আলী’র সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন খাবার হোটেল ব্যবসায়ী মোঃ আলগমীর হাওলাদার।

লিখিত বক্তব্যে তিনি দাবী করেন, তার পিতা মরহুম আঃ খালেক হাওলাদার ৪৬ বছর পূর্বে ৩৪নং লতাচাপলী মৌজার এসএ ৫৩৩৩নং দাগের অংশ থেকে ১.৫০ একর জমি ৫৬২কে/১৯৭৩-৭৪ নম্বর কেস মূলে বন্দোবস্ত পেয়ে ভোগ দখলে ছিলেন। আঃ খালেক হাওলাদারের মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে উক্ত জমির মালিক আলমগীর হাওলাদার গংরা নিযুক্ত হয়ে ভোগ দখল করছেন। যা বর্তমান বিএস জরিপে জেএল ৫৭ নম্বর কুয়াকাটা মৌজার বিএস ৮২৯ ও ৯৫৬ নম্বর খতিয়ানের ২৫২৪ ও ২৫২৫ নম্বর দাগে রেকর্ডভুক্ত আছে।

লিখিত বক্তব্যে আলমগীর হাওলাদার বলেন, আমরা উক্ত জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল করতে গেলে ভূমিদস্যু খ্যাত বাচ্চু শেখের নেতৃত্বে নুরজামালসহ ক্যাডার জমি দখল করার উদ্দেশ্যে কাজে বাধা প্রদান করেন এবং উক্ত জমির উপরে আদালতে মামলা চলমান আছে উল্লেখ্য করে সাইনবোর্ড স্থাপন করেন। আমি কোন উপায় না পেয়ে মহিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে আইনের সহায়তা চাই। মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান কাগজপত্র দেখে বাচ্চু শেখ গংদের বাঁধা প্রদানে নিষেধ করেন। এতে বাচ্চু শেখ ক্ষিপ্ত হয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং আমার বিরুদ্ধে ভুল তথ্য সরবরাহ করে গণমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশ করায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবী করেন আলমগীর হাওলাদার।

এসময় উপস্থিত কয়েকজন স্থানীয়রা জানান, ওই জমি বন্দোবস্ত পেয়ে দীর্ঘ ৪৫-৪৬ বছর যাবৎ আব্দুল খালেক হাওলাদার বাড়ি ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করেন। তার মৃত্যুর পরে তার কবর এই জমিতে দেয়া হয়ছে। আব্দুল খালেক হাওলাদারের মৃত্যুতে তার ওয়ারিশগণ ভাগ বন্টনপূর্বক ভোগ দখল করে আসছেন। কতেক অংশীদার পৈত্রিক সম্পত্তি ঢাকার জনৈক রুবাইয়াত ঠাকুর রবিন এবং কার্নিজ ফাতেমা গংদের নিকট বিক্রয় করে দখল বুঝিয়ে দেয় এবং আলমগীর হাওলাদার তার নিজ অংশে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে বসবাসরত আছেন।

এ ব্যাপারে বাচ্চু শেখ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা দাবী করে বলেন, ওই জমি আমার দাদা ১৯৬৬-৬৭ সালে বন্দোবস্ত পেয়েছে। আমি তাদের কাজ করতে নিষেধ করেছি। তারা আমার কথা শোনেন নি। আমি অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েছি। ওসি আমার অভিযোগ নেয়নি। পর আমি বাধ্য হয়ে বরিশাল গিয়ে সম্পাদকদের নিকট আবেদন করেছি। পটুয়াখালী পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বাচ্চু শেখ থানায় লিখিত কোন অভিযোগ নিয়ে আসেন নি। বিএস জরিপ সংশোধনের মামলা করেই অন্যের জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন করা সম্পূর্ণ বেআইনী।’ # # #

Most Popular

Recent Comments