17.5 C
Bangladesh
Sunday, December 22, 2024
spot_imgspot_img
Homeঅনিয়মমহিপুর শেখ রাসেল সেতুর ড্রেন আটকে প্রতিনিয়তই নির্মাণ হচ্ছে একের পর এক...

মহিপুর শেখ রাসেল সেতুর ড্রেন আটকে প্রতিনিয়তই নির্মাণ হচ্ছে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা নিশ্চুপ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

কুয়াকাটা প্রতিনিধি :

পটুয়াখালী কুয়াকাটা মহাসড়কের শেখ জামাল ও শেখ রাসেল সেতুর ঢালে তৈরি করা হয়েচ্ছে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থপনা আবার ক্রয় বিক্রিয় করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।

গত ২০.০৮.২০১৫ ইং (বৃহস্পতিবার) পটুয়াখালীর কুয়াকাটার মহিপুর-আলীপুর এলাকায় শিববাড়িয়া নদীর ওপর নির্মিত শহীদ শেখ রাসেল সেতু ও ২৫.০২ ২০১৬ ইং (বৃহস্পতিবার) হাজীপুর ও মহিপুর সোনাতলা নদীর উপর নির্মিত শহীদ শেখ জামাল সেতু দুইটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করেন।

মহিপুর কুয়াকাটা সংযোগ শিববাড়িয়া নদীর উপর নির্মিত শহীদ শেখ রাসেল সেতুর মহিপুর সংযোগ প্রান্তের ঢালে গড়ে ওঠছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনা তৈরিতে সেতুর পানি নিঃষ্কাসনের ড্রেন বন্ধ সহ সেতুর ঢাল রক্ষার তৈরি স্লোপ ভেঙ্গে স্থাপনার খুঁটি বসানো হচ্ছে। এসব স্থাপনা তৈরিতে সেতু রক্ষনভাগ আজ সম্পূর্ন হুমকির মুখে।

জানা যায়, এসব স্থাপনার মালিকগন প্রথমে জীবন জীবীকা নির্বাহর তাগিদে বাক্স তৈরি করে চা বিক্রয়ের জন্য স্থান দখল করেন, এরপর রাতারাতি সেখানে স্থায়ী স্থাপনা তৈরি করে। এসব স্থাপনা তৈরির কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে ওঠে বানিজ্যিক মার্কেট যেটা ‘ব্রীজ ঢাল মার্কেট’ নামে পরিচিত লাভ করে। কিছু কিছু স্থাপনার মালিক তাদের নিজস্ব মালিকানা দাবী করে সেগুলো বিক্রী করছে লক্ষাধিক টাকায়। বর্তমানে যারা অবৈধভাবে ঐসব স্থাপনা দখল করেছিলো, তার অধিকাংশ স্থাপনা প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকায় বিক্রী করে দিয়েছেন।
বর্মতানে এসব স্থাপনার তৈরির জন্য সেতু রক্ষা যেমন হুমকির মুখে, তেমনি সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন চলাচলে নেমে আসছে চরম বিপর্যয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে পরিবহন চলাচলে, যা কোন সময় হতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

অন্যদিকে একই ভাবে দখল শুরু হয়েছে সোনাতলা নদীর উপর নির্মিত শেখ জামাল সেতুর ঢালে। সেখানেও রাতারাতি তৈরি হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা।
এ বিষয় মহিপুর ব্যবসায়ী সাধারন সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ রুহুল আমিন দুলাল বলেন, আমাদের দক্ষিন বাংলা মানুষের স্বপ্ন ছিলো এই সেতু, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন পুরন করেছেন, এসব স্থাপনা সম্পর্কে মহিপুর ব্যবসায়ী সমিতির কেউ কিছু জানে না। তারা নিজেদের ইচ্ছায় এই স্থাপনা তৈরি করেছেন এবং বিক্রি করছেন, বাংলাদেশের অন্য কোথাও সেতুর ঢাল দখল করে এভাবে অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠতে দেখিনি, সত্যি এটা দুঃখজনক। মহিপুর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রী নির্মল শীল বলেন, এই সব স্থাপনার জন্য যেমন সেতুর রক্ষা ও পানি নিষ্কাশন ড্রেন বিলুপ্তি হয়েছে, তেমনি মহিপুর বাজারে প্রবেশকৃত যানবাহন রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আমারা সেতু কতৃপক্ষর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করি। মহিপুর হোটেল ব্যবসায়ী মোঃআবু সায়েদ বলেন, বর্তমানে সোতুর ঢাল ভেঙ্গে এসব ঘর তৈরি করে সেতুর সর্বনাশ করছে।

এ বিষয়ে, পটুয়াখালী সড়ক জনপথ এর সুপাঃ ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ মোঃ নাজমুল হুদা এর সাথে তার মুঠোফোন (০১৭৩০৭৮২৭৯১) নম্বরে যোগযোগ করার চেস্টা করেও যোাগাযোগ করা যায়নি।

মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ বলেন রোডস এন্ড হাইয়ের জায়গায় কেউ কোন স্থাপনা নির্মাণ করলে তাতে বাধা দেওয়া আমাদের এখতিয়ারে নেই।

তবে অভিযোগ রয়েছে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এই কর্মকর্তার সাথে আতাত করে এসকল অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে যারা অপারগ হচ্ছে কেবলমাত্র তাদের স্থাপনাই উচ্ছেদ করা হচ্ছে বা বাধা প্রদান করা হচ্ছে।

আরো জানা যায় যেহেতু রোডস এন্ড হাইয়োয়ের জায়গায় কোন স্থাপনা নির্মানের তাদের বাধা দেওয়ার এখতিয়ার নাই তারপর বিভিন্ন সময় তিনি এখতিয়ার বহির্ভূত কর্মকর্তা পরিচালনা করে থাকে।

Most Popular

Recent Comments