26.5 C
Bangladesh
Sunday, December 22, 2024
spot_imgspot_img
Homeজাতীয়মুক্তিযুদ্ধআজ পিরোজপুরের মুক্তি দিবস।

আজ পিরোজপুরের মুক্তি দিবস।

মোঃ ফেরদৌস মোল্লা
আজ ৮ ডিসেম্বর, পিরোজপুর মুক্তদিবস। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে এই দিনে পিরোজপুর পাকহানাদার মুক্ত হয়। ঘরে ঘরে উড়েছিল লাল সবুজের বিজয় পতাকা। পিরোজপুরের ইতিহাসে এ দিনটি বিশেষ স্মরণীয় দিন। মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টরের অধীন পিরোজপুর ছিল সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মরহুম মেজর জিয়াউদ্দিনের দায়িত্বে।
১৯৭১ সালের ৪ মে পিরোজপুরে প্রথম পাক বাহিনী প্রবেশ করে। শহরের প্রবেশদ্বার হুলারহাট নৌ-বন্দর থেকে পাকহানাদার বাহিনী শহরে প্রবেশের পথে প্রথমেই তারা মাছিমপুর ও কৃষ্ণনগর গ্রামে শুরু করে হত্যাযজ্ঞ। তারপর ৮ টি মাস স্থানীয় শান্তিকমিটির নেতা ও রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু ও স্বাধীনতা পক্ষের লোকজনদের বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়। হত্যা করা হয় প্রায় ৩৫ হাজার মুক্তিকামী মানুষকে । সম্ভ্রম হারান প্রায় ৫ হাজার মা-বোন।
পিরোজপুরকে হানাদার মুক্ত করতে সাব-সেক্টর কমান্ডার মরহুম মেজর জিয়াউদ্দিনের নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল সুন্দরবন থেকে ৭ ডিসেম্বর রাত ১০টায় পিরোজপুরের দক্ষিণপ্রান্ত পাড়েরহাট বন্দর দিয়ে শহরে প্রবেশ করে। মুক্তিবাহিনীর এ আগমনের খবর পেয়ে পাক হায়নারা শহরের পূর্বদিকের কচানদী দিয়ে লঞ্চ-স্টীমার যোগে বরিশালের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। অবশেষে দীর্ঘ আট মাস অবরুদ্ধ থাকর পর ৮ ডিসেম্বর পিরোজপুর হানাদার মুক্ত হয়।
দেশের বর্তমান মহামারী করোনা এবং সরকারের নির্দেশনার কারনে এ বছর পিরোজপুর মুক্ত দিবস উদযাপন পরিষদের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে শহীদ ভাগীরথী চত্তরে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে^ পুষ্পমাল্য অর্পণ। শেষে শহরের স্বাধীনতা চত্ত্বরে স্বধীনতা মঞ্চে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বিকেলে প্রেসক্লাবের আলোচনা সভা।

Most Popular

Recent Comments