মো ফেরদৌস মোল্লা পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি
মুজিববর্ষ উপলক্ষে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টির দিন। দিনটিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এর ফলে প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৬৯ হাজার ৪০৯ পরিবার কে পাকা বাড়ি পাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অসহায় ভূমিহীন এবং গৃহহীন ৯ লাখ পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হবে। তাই স্বাভাবিকভাবেই সুবিধাভোগীদের চোখে-মুখে উচ্ছ্বাস। আনন্দ হিল্লোল বইছে মুজিব গ্রামগুলোতে।
টানা এক যুগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা ও দরিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা। তার দূরদর্শী নেতৃত্বেই গ্রামীণ অবকাঠামো, খাদ্য নিরাপত্তা, শান্তিচুক্তি, সমুদ্র বিজয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে। দেশে চলমান এমন উন্নয়নের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন- মুজিববর্ষে দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সরকার সব ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেবে।পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক জানান,
পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলায় একসঙ্গে প্রথম ধাপে নির্মিত ৩৭৫টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমির মালিকানা দিয়ে বিনা পয়সায় দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে প্রধানমন্ত্রী প্রদান করবেন।
পরবর্তী পর্যায়ে নির্মানাধীন বাকি ৮০০ ঘর পর্যায়ক্রমে নির্মানের মাধ্যমে প্রদান করে ৮০০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় নির্মিত ৩৫ ও নির্মানাধীন ৫০,নাজিরপুরে নির্মিত ৫৫ ও নির্মানাধীন ৩০০, নেছারাবাদে নির্মিত ৭৫ ও নির্মানাধীন ৪৫, ভান্ডারিয়ায় নির্মিত ৪৫ ও নির্মানাধীন ৬৫, ইন্দুরকানিতে নির্মিত ৭৫ ও নির্মানাধীন ১৩৯,কাউখালীতে নির্মিত ৫০ ও নির্মানাধীন ৬০ এবং মঠবাড়িয়া উপজেলায় নির্মিত ৪০ ও নির্মানাধীন ১৪১টি ঘর রয়েছে।
সরকারের ১৩ কোটি ৬৮ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৬ টাকা ব্যায়ে প্রতিটি ঘর তৈরীতে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা ব্যায়ে ৮০০ ঘরের ০২ শতাংশ জমির উপর প্রতিটিতে ২টি থাকার রুম, একটি বারান্দা, একটি রান্না ঘর ও একটি স্বাস্থ্যসম্মত লেট্রিন তৈরী করে দিচ্ছে সরকার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১ হাজার ১৭৫টি পরিবারের তালিকা করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।