কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি\ দীর্ঘ একযুগ ধরে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভাংঙ্গা কংক্রিটের অংশ বিশেষ অবশেষে ২৮ জানুয়ারী (বৃহস্পতিবার) সরিয়ে ফেলা হয়েছে। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোন ও পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়রের যৌথ উদ্যোগে কংক্রিট গুলো সরিয়ে ফেলা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত চলে এ অপসারনের কাজ। এতে সহযোগিতা করেন ট্যুর অপারেটরস এসাসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক), ক্যামেরাম্যান ও সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা। আর এই কংক্রিট অপসারণের কাজ করে চায়না কোম্পানী সিকো।
সৈকতের সম্মুখভাগের প্রায় একশো মিটার এলাকা জুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে থাকা ভাঙ্গা কংক্রিটের অংশ গুলো সরিয়ে ফেলার কারণে ঝুকিঁমুক্ত হয়েছে সৈকত এলাকা। এখন আর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কংক্রিটের ভাংঙ্গা অংশের কারনে পর্যটকদের দূর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই। ট্যুরিস্ট পুলিশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পর্যটক সহ স্থানীয়রা।
জানা গেছে, এলজিইডির গেস্ট হাউজ কাম বায়োগ্যাস প্লান্ট ভবনটি বালু ক্ষয়ের কবলে পরে সমুদ্র গর্ভে চলে যায়। ভবনটির উপরি ভাগের অংশ বিশেষ সরিয়ে ফেললেও মাটির নিচে কংক্রিটের ভাংঙ্গা অংশ গুলো থেকে যায়। জোয়ারের পানিতে বালুমাটি সরে গিয়ে কংক্রিটের ভাংঙ্গা টুকরো গুলো সৈকতে জেগে ওঠে। আর এতে বিড়ম্বনায় পরতে হয়েছে পর্যটকদের। সমুদ্রে গোসল করতে নেমে আহত হয়েছে অনেক পর্যটক। সৈকত থেকে কংক্রিটের ভাংঙ্গা অংশ গুলো সরিয়ে নিতে গনমাধ্যমে একাধিকবার লেখালেখির পরও দীর্ঘ এক যুগেও অপসারণ করা হয়নি। সম্প্রতি কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোন’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.সোহরাফ হোসাইন পর্যটক বান্ধব সৈকত গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে নামেন। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সৈকতে পরে থাকা কংক্রিট গুলো সরিয়ে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হয়।
ট্যুরিজম ব্যবসায়ী কেএম বাচ্চু বলেন, জোয়ারের সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকা কংক্রিটের ভাংঙ্গা অংশে আগাত পেয়ে অনেক পর্যটকরা আহত হয়েছেন। আহত পর্যটকদের কুয়াকাটা সৈকতের প্রতি নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হতো। এখন আর কোন পর্যটক দূর্ঘটনায় পতিত হবার সম্ভাবনা নেই। কংক্রিটের ভাংঙ্গা অংশ সরিয়ে ফেলায় নিরাপদ সৈকত হিসেবে পরিচিতি পাবে কুয়াকাটা এমনটাই জানিয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ী কেএম বাচ্চু।
এ ব্যাপারে কুয়াকাটা পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র মো.আনোয়ার হাওলাদার জানান, নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন সৈকত গড়তে তিনি সহ পৌর পরিষদের সকল সদস্যরা এক যোগে কাজ করবেন। এরই ধারাবাহিকতায় সৈকতের কংক্রিট অপাসারণ করা হয়েছে। এরপর থেকে কোন পর্যটক সমুদ্রে গোসল করতে নেমে আহত হবে না বলে তিনি দাবী করেন। এজন্য তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
এবিষয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোন’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.সোহরাফ হোসাইন জানান, শুধু পর্যটকদের নিরাপত্তাই নয়, পর্যটকদের কাছে পরিচ্ছন্ন সৈকত উপহার দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ সকলের সহযোগিতায় কাজ করে চলছে। ধারাবাহিকভাবে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন কুয়াকাটা গড়তে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করার অঙ্গিকার করেন তিনি। ####