মহিপুর থানা প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর মহিপুরে কিশোরকে অপহরণ করে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায়নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। থানায় অভিযোগের ২দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃতকিশোরকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।অপহৃত কিশোর মহিপুর গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে রায়হান (২২)বৃহস্পতিবার দুপুরে তার শ্বশুর বাড়ি তালতলির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যায়।যাওয়ার সময় তার সাথে ১ লক্ষ টাকা ও তার নিজের মটরসাইকেল এবং একটি মোবাইলসেট ছিলো। পরবর্তীতে সন্ধায় রায়হানের স্ত্রী তাকে ফোন করে অবস্থান জানতে
চাইলে মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনতে যায় এবং
কিছুক্ষণ পরে লাইন কেটে ফোনে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পরিবারের লোকজন
তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। একপর্যায়ে শাজাহান শিকদারের মাধ্যমে তার পিতা
আবুল কাশেম ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখতে পান।ভিডিওতে দেখা যায় অপহৃত কিশোর রায়হানকে গাছের সাথে হাত বেঁধে একটি নির্জনবনের ভিতরে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালাচ্ছে ৪-৫ জন যুবক। লতাচাপলীরইউনিয়নের ফাঁসিপাড়া গ্রামের নেছার সিকদারের ছেলে ইমাম শিকদার (ইমন)
নেতৃত্বে ৪/৫ জন যুবক এ নির্যাতন করছেন।এরপর রায়হানের পিতা আবুল কাশেম শুক্রবার বিকালে বাদী হয়ে ইমাম সিকদার,মসিউর, ইমরান, বিপ্লব শীলের নাম উল্লেখ করে আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাত দিয়ে
মহিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ২ দিন অতিবাহিত হলেও অপহৃত কিশোর
রায়হান ও আসামি কাউকেই আটক করতে পারেনি মহিপুর থানা পুলিশ।রায়হানের পিতা আবুল কাশেম বলেন, ইমাম সিকদার তার ব্যবহৃত (০১৩০৮৫৭৯২২০)
এই নম্বর থেকে ফোন করে আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আপনার ছেলেকে আমরা ছেড়ে
দিয়েছি, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আরো খারাপ হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযোগের আসামিরা এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী।
মাদক কারবারের দায়ে একাধিকবার তারা পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এবং তাদের
বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের কাছে জানতে
চাইলে তিনি বলেনম আমরা আসামিদের আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি এবং
অপহৃত রায়হানকে উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।