মোঃ-আলমগীর হোসেন,চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধিঃ-
সেচ্ছায় ভিক্ষা পেশা ছেড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা পরিচালনা করার ইচ্ছাটা যেনো স্বপ্নের মত অবিশ্বাসভাবে পুরন হল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের বড়শলুয়া গ্রামের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী জিয়াউর রহমানের। ভিক্ষা পেশা ছেড়ে দেওয়ায় পেল দূর্যোগ সহনশীল পাকা বাড়ি ও স্থায়ী ব্যবসা করার জন্য মুদি দোকান। অাজ বুধবার বিকাল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বড়শলুয়া গ্রামের ভিক্ষুক জিয়াউর রহমানের বাড়ীর সামনে আয়োজিত ভিক্ষুক জিয়াউর রহমানের থাকার ঘর ও মুদি দোকান উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ৃজেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। ঘর ও মুদি দোকান উদ্ভোধন শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দক্ষ নেত্বৃতে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত ভিশন ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে মাথা তুলে দাড়াবে। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে সোনার মানুষে পরিনত হতে হবে। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও সামাজিক উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে। মুজিববর্ষে শুধুমাত্র আমাদের চুয়াডাঙ্গা জেলাতেই ১১ হাজার গৃহহীন মানুষ থাকার ঘর পাবে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাদিকুর রহমানের সভাপত্বিতে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আব্দুল হান্নান, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি। সাংবাদিক আরিফ হাসানের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, তিতুদহ ইউনিয়নের সচিব জিয়াউর রহমান, বেগমপুর ইউনিয়নের তরুন সমাজ সেবক শামীম হোসেন মিজি, ভালবাসার বন্ধনের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়নাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আসহাবুল আলম দর্শনা , বেগমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহম্মেদ, সমাজ সেবক ফারুখ হোসেন, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিন সহ তিতুদহ ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ ও উল্লেখ: প্রায় ৪ মাস আগে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক জিয়াউর রহমান ভিক্ষা পেশা ছাড়তে চাই শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন হিজলগাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ হাসান। পোস্ট দেখে জিয়াউর রহমানকে ব্যবসা করার জন্য বাদাম ও নগদ অর্থ প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক ভাষা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সমাজসেবক শামীম হোসেন মিজি। সেই ছবি ফেসবুকে দেখে জিয়াকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে নেন চুয়াডাঙ্গা জেলার মানবিক জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। এসময় জেলা প্রশাসক জিয়াকে স্থায়ী ব্যবসা করার জন্য নগদ ১৫ হাজার টাকা ও একটি পাকা ঘর নির্মানের প্রতিশ্রতি প্রদান করেন।