¤ বাকেরগঞ্জ বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশাল জেলায় বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৬ নং ফরিদপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাকেরগঞ্জ থানা ফরিদপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। গতকাল সকাল ৯ টায় শহীদ থেকে পথ যাত্রা শুরু করে কাকরধা বাজার হয়ে পাটকাঠির রোড দিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয় এসে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দোয়া ও মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর আলাউদ্দিন সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বাদশা চাপ্রাশী সহকারী শিক্ষক ইছাপুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনায়েত হোসেন হিরন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল হাই সন্যামত, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নাসির খান কাওসার সন্যামত তোফাজ্জল হোসেন মিজানর হাওলাদার ছাত্রলীগ নেতা মেজবাহ উদ্দিন,সোহাগ চাপ্রাশী, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।মুখের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে বিরল ইতিহাস গড়েছে বাঙালি। প্রাণের ভাষা বাংলাকে উর্দুর পাশাপাশি পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে গড়ে ওঠা দুর্বার আন্দোলনে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত, রফিক প্রমুখের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। যার ফলে বাংলা ভাষা পায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে ৯ মাস পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে কাকরধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে।
মহান একুশের শহীদদের আত্মত্যাগ বিশ্বসভায় পেয়েছে অনন্য মর্যাদা। সেই রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। শোক আর গর্বের মহিমান্বিত একটি দিন।দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও বিশ্বব্যাপী পালিত হবে। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গান গেয়ে শহীদদের স্মরণে বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে ও ব্যানার নিয়ে শ্রদ্ধার ফুল হাতে মানুষের পদযাত্রা চলবে শহীদ মিনার অভিমুখে। স্মৃতির মিনারে শ্রদ্ধায় অবনত হবে লাখো মানুষ। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাজনৈতিক দলগুলো পৃথক বাণী দিয়েছে। সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্মরণ করা হবে একুশের আত্মত্যাগ ও মহিমা।
ফেব্রুয়ারি মাস একুশের শহীদের স্মৃতিবাহী শোকাবহ মাস হলেও আত্মত্যাগ ও আত্মজাগরণের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের কারণে দিনটিকে উদযাপন করা হয় পরম মমতায়। কিন্তু এ বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অন্যান্য অনেক কিছুর মতোই ২১শে ফেব্রুয়ারি উদযাপনের ক্ষেত্রেও ঘটছে ছন্দঃপতন।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনগুলো দিবসটি পালন করে।