জাহিদুল ইসলাম জাহিদ:
দেশের বিপদ কালীন সময়েও থেমে নেই, অসৎ লোকের অসৎ কাজ, লুটে খাচ্ছে অসহায় মানুষের সরকারি সহায়তা।
পটুয়াখালীর লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ বস্তা সরকারি ত্রানের চাল জব্দ করেছে মহিপুর থানা পুলিশ।
বুধবার বিকাল ৩ টায় মৎস্যবন্দর আলীপুরের লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ইদ্রিস হাওলাদারের বাসায় অভিযান চালিয়ে এ চাল উদ্ধার করা হয়। মহিপুর থানা পুলিশ জানিয়েছেন, লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যানের ভায়রা ইদ্রিস হাওলাদারের বাসায় ত্রানের চাল রয়েছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ বস্তা চালসহ তিনটি ড্রামে ভরা দেড়’শ কেজি চাল উদ্ধার করেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত ইদ্রিস হাওলাদারকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিপুর থানায় নিয়ে যায়।
এ প্রসংঙ্গে লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, প্রতি জনের ১২০ কেজি করে তিন নামের ভিজিডির চালসহ ১জন জেলে কার্ডের চাল ছাড়িয়ে ইদ্রিস হাওলাদারের বাসায় রেখেছে কে বা কারা এ বিষয়ে তিনি না, এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, ইদ্রিস হাওলাদারের আত্মীয়দের নামের তালিকার চাল। এ ঘটনায় লতাচপলী ইউনিয়ন পরিষদের তদারকি কর্মকর্তা ইলিয়াস খান রানা ও কলাপাড়া উপজেলা ফ্যামিলি প্লানিং অফিসার বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।
তদারকি কর্মকর্তা ইলিয়াস খান রানা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের স্টক রেজিষ্ট্রারের সাথে চাল বিতরণের মিল রয়েছে। বাস্তবে কি ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে প্রশাসন।এরপর ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫ টায় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন এবং ইউনিয়ন পরিষদের স্টকের সাথে সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা যাচাই বাচাই করেন।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ৯ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত ইদ্রিস হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিপুর থানায় আনা হয়েছে, যদি সঠিক তথ্য পাই আমরা তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।